বসন্ত বিকেলের আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার জন্য কথাটি আরও বেশি সত্যি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির আয়োজনে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ঢাকা িশ্ববিদ্যালয় বসন্ত উৎসব-১৪২২ ঘিরে দিনভর ছিলো তারুণ্যের পদচারণায় মুখর। বসন্ত উৎসব সকাল ১০টায় শুরু হয়। মূলমঞ্চে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঢাবি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মঞ্চে ছিলো ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, গম্ভীরা, গীতিনাট্য, নকশী কাঁথার মাঠের মঞ্চায়ন, মঞ্চ নাটক, পুঁথি পাঠ, জারী গান ও আবৃত্তিসহ লোকজ সংস্কৃতির বেশকিছু পরিবেশনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হন আগত দর্শকরা। মেলা প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছিলো গ্রামীণ মেলার বিভিন্ন পরিবেশনা দিয়ে। ছিলো ফুড কর্ণার, চটপটি, ফুসকা, হাওয়াই মিঠাই, নানা ধরনের পিঠা, নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, বানর খেলা, ফরচুন টেলার, ক্যারিকেচার ড্রয়িং, সাপের খেলা, মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র, মেয়েদের জন্য চুড়ি এবং মেহেদি কর্ণার।
উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জাঁকজমকপূর্ণ গ্রামীণ সংস্কৃতির নানা ধরনের পরিবেশনায় প্রাধান্য পেয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি। আয়োজকরা জানান, এই আয়োজন তারা নিয়মিত করতে চান।
ঢাবি শিক্ষার্থীদের পর মঞ্চে গান শোনাবেন কিরণ চন্দ্র রায়, বাপ্পা মজুমদার এবং জলের গান। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ অবধি চলব তাদরে পরিবেশনা। এরপর ফানুশ উড়িয়ে শেষ হবে আজকের আয়োজন।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা পেপার মিলসের ব্র্যান্ড হেড সলিম উল্লাহ সেলিম, সংগঠনের সভাপতি ওয়াসেক সাজ্জাদ ও সাধারণ সম্পাদক আহসান রনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘন্টা, মার্চ ১৫, ২০১৬
এসও