হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অনেকদিন ধরে। বুধবার (১৬ মার্চ) তিনি গিয়েছিলেন গ্রিসে।
শরণার্থী ও সংবাদমাধ্যমের জটলার মধ্যে গাড়ি নিয়ে পাইরিয়াস বন্দরে অস্থায়ী একটি শিবিরে পৌঁছাতে বেশ হিমশিম খেয়েছেন জোলি। সেখানকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পর তিনি জানান, শরণার্থীরা অমানবিক সময় পার করছে। তাই তাদের সাহায্য প্রয়োজন। সেখানে মোট আধঘণ্টা ছিলেন তিনি।
তুরস্ক অভিমুখী দ্বীপ থেকে আসা শরণার্থী ও জাতিসংঘ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জোলি। এখানে চার হাজার শরণার্থীর দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে। ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে থাকা অসংখ্য অভিবাসীদেরই অংশ তারা।
আলেপ্পো থেকে আসা ২৩ বছর বয়সী সিরিয় তরুণী বিচাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমি এক মাস ধরে গ্রিসে আছি। জার্মানি যাওয়ার জন্য সীমান্ত পেরোনোর দিন গুনছি। সীমান্ত খুলে দিতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির উপস্থিতি কাজে আসবে আশা করি। ’
এরই মধ্যে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জোলি। তিনি উল্লেখ করেন, বলকান রুটে দেশগুলোর একতরফা পদক্ষেপের কারণে গ্রিসের মূল ভূখন্ডে ৪৩ হাজার মানুষ আটকে আছেন।
বৃহস্পতিবারও গ্রিসে থাকছেন জোলি। নিজের এই সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, অংশীদার ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে আলোচনা করবো। শরণার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮, ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ