শিল্পীর ঘরে তার জন্ম। সময়ের সঙ্গে তিনিও হয়ে উঠেছেন শিল্পী।
টেলিভিশন, মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের প্রিয়মুখ বিপাশা হায়াত৷ নব্বই দশকে তার উত্থান টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেও পরে তিনি নাটকের জন্য চিত্রনাট্য লেখেন। পাশাপাশি নির্মাণেও ব্যস্ত সময় কাটান।
আর এখন? বিপাশা পুরোদস্তুর চিত্রশিল্পী। কিছুদিন আগে হয়ে গেলো তার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী পড়েছেন চারুকলায়। আঁকাঅাঁকির শুরু তখন থেকেই। অভিনয়ের ব্যস্ততার কারণে আত্মপ্রকাশ করেছেন দেরিতে। শিল্পী হিসেবে বাবার একাধিক বইয়ের প্রচ্ছদও এঁকেছেন।
নাটক ও চলচ্চিত্রের অনেক চরিত্রকেই তিনি জীবন্ত করে তুলেছিলেন। তার অর্জনের ঝুলিতে আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। এই সম্মান এনে দেয় হুমায়ূন আহমেদের ‘অাগুনের পরশমনি’। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরেকটি ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেন তিনি। এটি হলো তৌকীর আহমেদের ‘জয়যাত্রা’৷
মুক্তিযুদ্ধের বছরেই ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বিপাশা হায়াতের জন্ম৷ ৪৫ বছরের এই শিল্পী জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন আরেক গুণী শিল্পী তৌকীর আহমেদকে। তার বোন নাতাশা হায়াতও কম-বেশি অভিনয় করেছেন। বিপাশা এখন দুই সন্তানের জননী৷ জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে বাংলানিউজ পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
টিএস/এসও/জেএইচ