ঢাকা: কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মিনার্ভা থিয়েটারে ‘৮ম থিয়েলাইট নাট্যেৎসবে’ নদীয়ার সূচনা নাট্যদল বাংলাদেশের সালাম সাকলাইনের ‘কারিগরনামা’ নাটকের ১৩৬তম শো করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর দ্রুত অবনতিশীল ক্ষয়িষ্ণু তাঁতি-জোলাদের জীবনকাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘কারিগরনামা’। মহাজনের শোষণ এবং নাগেশ্বরী শহরে স্থাপিত কটন মিলের স্বল্পমূল্যের কাপড় প্রাপ্তির প্রভাবে ডহরজানি গ্রামের ক্রমনিমজ্জমান তাঁতিদের আর্থিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিক অবস্থা দিনদিন নড়বড়ে হতে থাকে। সেই ক্ষয়িষ্ণু তাঁতি সমাজের অমল যুগী আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়। শত সমস্যা মোকাবেলা করে অমল যুগী নতুন শাড়ির নকশায় জীবনের নতুন পতাকা ওড়াতে চায়। তারা দুনিয়ার সবাইকে দেখাতে চায় কারিগরের হাতের কাজ। তারা বোঝাতে চায়, যে কারিগর বুকের ভালোবাসা দিয়ে কাপড় বানায়- অন্যের সম্ভ্রম রক্ষা করে সেই কারিগর স্রষ্টার সমান।
তাঁতিরা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে আবার ডহরজানি গ্রামের আসমানজমিনে নতুন সূতার মাড়ের সুবাস ছড়ায়। সুতার বুননে বুননে তারা জীবনের মরা পাতায় আবার রঙিন ফুলের নকশা আঁকে। এই হচ্ছে কারিগরনামা নাটকের মূল কথা।
নাটকের কলাকুশলীরা হলেন, পবিত্র (অমল), প্রণব (রামলাল), চন্দন (ঠাকুর), দেবাশীষ (রাসেল), সৃজন (সুত্রধর ও অরিন্দম), দেবব্রত (বৃদ্ধ), ভরত (বিন্দা), দীপা (পুস্প), সুজিত, বিশ্বজিৎ (সহযোগী)।
মঞ্চ ও নির্দেশনা- সৃজন, আলো প্রক্ষেপণ- চন্দন, আবহ সঙ্গীত- দীপা, প্রযোজনা-সূচনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ/