জুলেখা একজন লেখিকা। ‘নারী সকল আদি পাপের উৎস’- এই ধারণা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইহুদি ধর্মের প্রবক্তাগণ জুলেখাকে খলনায়িকা হিসেবে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন।
অপেরা নাটক ‘ডৌল: জুলেখার জেরা পর্ব’র বিষয়বস্তু এটাই। বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয়ে গেলো নাটকটি। আগের দিন এখানেই এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে।
‘ডৌল: জুলেখার জেরা পর্ব’ হলো নাট্যমের চতুর্থ প্রযোজনা। নাটকটি লিখেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন চয়ন খায়রুল হাবিব। তিনি বাংলানিউজকে বললেন, ‘এটি বাংলাদেশের প্রথম অপেরা নাটক। ’ কেন এটিকে অপেরা বলা হচ্ছে সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশে প্রচুর গীতিনাট্য হয়ে থাকলেও সুনির্দিষ্ট স্বরলিপি-নির্ভর সংলাপ আকারে পুরো নাটক এর আগে কেউ সাজায়নি। জুলেখা ট্রিলজির বয়ান অংশগুলো সুনির্দিষ্ট স্বরলিপি-নির্ভর। কেবল গদ্য অংশটুকুকে চড়াই হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ’
এ নাটকে নায়িকা জুলেখা হিসেবে দেখা গেছে পারভীন পারুকে। ইউসুফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ ইউসুফ। শুরুতে ইউসুফ চরিত্রটি জেরাকারি হলেও নাটকের শেষ পর্যায়ে জুলেখার বাবা চরিত্রে হাজির হয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও অভিনয় করেছেন শিশির রহমান।
আলোকশিল্পীর (নাসিরুল হক খোকন) নিপুণ আলোক বিন্যাসের সুবাদে চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত। পাশাপাশি পোশাক আর মঞ্চ ব্যবস্থাপনাও ছিলো মনকাড়া। জুলেখাকে জেরা করার সময়ের আলোর পাশাপশি শব্দবিন্যাস ছিল মনে রাখার মতো।
‘ডৌল: জুলেখার জেরা পর্ব’ মঞ্চস্থ হওয়ার পাশাপাশি ছিলো একই শিরোনামে চিত্রাঙ্কন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। নাটকটি নির্মাণে নাট্যম রেপার্টরির সঙ্গে কাজ করেছে জুলেখা সিরাপ রিডার্স লাউঞ্জ।
বাংলাদেশ সময় : ০৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
টিএস/জেএইচ