‘লালজমিন’ নাটকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চৌদ্দ বছরের কিশোরী ও যুদ্ধত্তোর এক সংগ্রামী নারীর চরিত্রে একক অভিনয় করেছেন মোমেনা চৌধুরী। শততম রজনীর শেষ প্রান্তে তাই তাকে ফুল দিয়ে সম্মান জানালেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় শূন্যন থিয়েটারের নাটকটির ১০০তম প্রদর্শনী হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে সাজানো নারীকেন্দ্রিক নাটক, তাই অনুষ্ঠানে তিন বীরাঙ্গনাকে সম্মাননা জানানো হয়।
শুরুতে দলটির সব কলাকুশলী, এ নাটকের নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী, নাট্যকার মান্নান হীরা, আমন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধা ও দর্শকদের নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। নাট্যকার মান্নান হীরা বলেন, ‘২০১১ সালের ১৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয়। সে হিসাবে এতো অল্প সময়ে কোনো নাটকের শততম মঞ্চায়নের ঘটনা বিরল। এটি আমাদের সবার জন্য আনন্দের। ’
নাটকটিতে দেখানো হয়- মুক্তিযুদ্ধে এক কিশোরীর অংশগ্রহণ, গল্পের অগ্রগতির সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহতা, মেয়েটির ত্যাগ ও স্বাধীনতা অর্জন। সবশেষে দর্শকদেরকে নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ‘লালজমিন’। এতে যুক্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ৪২ বছরে ঘাতক দালালদের বৃত্তান্ত ও একজন মুক্তিযোদ্ধা নারীর উপলব্ধি।
অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরীর আশা, নাটকটি একদিন হাজারতম প্রদর্শনীতে যাবে। প্রযোজনাটির নেপথ্য কারিগররা হলেন ওয়াহিদা মল্লিক, জুলফিকার চঞ্চল, রামিজ রাজু, নীলা সাহা, আতিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, মীর্জা শাকিব, মোসাম্মৎ মমতাজ, জুয়েল মিজি, তানভীর সানি ও নিথর মাহবুব।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬
টিএস/জেএইচ