একেবারে মাতিয়ে তোলা বলা যায়। নাচ-গান-কবিতায় ফারহান আখতার এতোটা মুন্সিয়ানা দেখাবেন, বৃষ্টিকবলিত শেষ বিকেলে এমনটা কেউই ভাবতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে বলিউডের এই নায়কের ‘ডাই হার্ড ফ্যান’-এর দেখাও মিললো বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে। এ কারণেই কি-না কিছুদিন আগে বিয়ে বিচ্ছেদে বিধ্বস্ত ফারহানকে আরও প্রাণোচ্ছ্বল আর উদ্যমী মনে হলো। পরিবেশনার ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গেছে। টিশার্টের ওপর কালো ব্লেজার, চুল বাঁধা অবস্থায় মঞ্চে উঠেছিলেন। পরে ব্লেজার উধাও, চুলের বাঁধনও গেলো খুলে। মানে, দর্শকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন ফারহান।
নিজের গাওয়া কিংবা অভিনীত সিনেমার গান গাইছেন, নাচছেন। পুরো হলের দর্শকের অধিকাংশই তখন উড়ে এসেছে মঞ্চের ঠিক সামনে। গানের সঙ্গে নাচ ও সেলফি তোলা চলছে সমানতালে। চারদিক থেকে ‘রক অন’ গানটির অনুরোধ আসছে। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তার। ইশারায় বোঝালেন এবার একটু ক্লান্ত বোধ করছেন।
কিন্তু এ কী! বিশ্রামের পথে না হেঁটে, মঞ্চে উপুর হয়ে বুক ডন দিতে শুরু করলেন ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর নায়ক! একটি দুটি নয়, কমপক্ষে ৪০-৪৫টি বুক ডন দিয়েছেন ফারহান। এই দৃশ্য সরাসরি উপভোগ করে অনেকেই বিস্মিত। এ-ও সম্ভব! এতোক্ষণ লম্পঝম্প মেরে গান করার মধ্যেই আবার বুক ডন! আবারও বিস্ময়ের জন্ম দিলেন তিনি।
বুক ডন শেষে কোনো বিরতি নয়, ফিরলেন অন্য গানে। নতুন গানটি করার বেলায় জাভেদ-তনয়কে (জাভেদ আখতার) আরও বেশি উদ্যমী মনে হলো। তার সঙ্গে দর্শকও ফুল ফর্মে!
ফারহান তার পরিবেশনা শেষ করলেন বহুল অনুরোধের ‘রক অন’ গানটি দিয়ে। তখন রাত ১০টা। আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে প্রথমবার এসেছেন তিনি। ধন্যবাদ জানালেন এখানকার দর্শকদের।
ব্লুজ কমিউনিকেশনসের আমন্ত্রণে ‘ফারহান লাইভ’-এ যোগ দিতে ওইদিন দুপুরে ২০ সদস্যের দল নিয়ে ঢাকায় আসেন ফারহান। কথা ও সুরে বোঝালেন অনেক কিছু, ছড়ালেন আলো। এতো এতো ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া মানুষটি যেন একটি বার্তাই দিলেন বাংলাদেশিদের, ‘যে যেটাই করুন, ভালোভাবে করতে হবে। আন্তরিকতার সঙ্গে করুন। ’
ফারহানের মতো নিবেদিত প্রাণের মানুষ হলেই বুঝি সৃষ্টিশীলতার এতোগুলো মাধ্যমে এক নম্বর হওয়া যায়। অক্লান্ত পরিশ্রম আর সাধনা ছাড়া ওর মতো এগিয়ে চলার আর কোনো বিকল্প আছে?
বাংলাদেশ সময় : ০৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬
এসও/জেএইচ