চলে গেলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন। সোমবার (৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টায় রাজধানীর উত্তরায় আধুনিক হাসপাতালে মারা যান তিনি(ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
খোকন স্ত্রী, তিন সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বাদ জোহর এফডিসিতে খোকনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন চলচ্চিত্রের শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা।
খোকনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও পরিবেশক এবং শিল্পীসমিতি। এ ছাড়াও শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি।
মুখগহ্বরে মটর নিউরো ডিজিসে (এএলএস) আক্রান্ত হয়েছিলেন শহীদুল ইসলাম খোকন। গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালে নেওয়া হয় জনপ্রিয় এই নির্মাতাকে। দীর্ঘদিন ধরে বাসায় শয্যাশায়ী খোকনের অবস্থা ওইদিন শোচনীয় হয়ে পড়ে। তাকে অক্সিজেনের দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিলো। হৃদরোগ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তার অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে পড়েছিলো।
খোকনের অসুস্থতায় এগিয়ে এসেছিলো সরকার। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় নেওয়া হয়। সেখানকার বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বলে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
অক্টোবরের শেষ দিকে দেশে ফেরার পর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ডা. আরেফিনের তত্ত্বাবধানে শহীদুল ইসলাম খোকনের পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউব স্থাপন করা হয়। এ টিউব দিয়েই তিন ঘণ্টা পর পর তাকে খাওয়ানো হচ্ছিলো।
‘ঘাতক’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘লাল সবুজ’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’সহ দুর্দান্ত সব চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন খোকন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রক্তের বন্দি’। এরপর তিনি রুবেলকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘বিপ্লব’, ‘অকর্মা’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘টপ রংবাজ’, উত্থান পতন’ প্রভৃতি ব্যবসাসফল সিনেমা।
খোকনের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৫ মে। বরিশালে তার বেড়ে ওঠা। তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানার হাত ধরে। মাসুদ রানা চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন। রুবেলকে নিয়ে তৃতীয় ছবিটি নির্মাণ করে সাফল্য পান খোকন। ছবিটির নাম ছিলো ‘লড়াকু’।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ এপ্রিল ০৪, ২০১৬
জেএইচ/