তাকে বলা হয় তারকা নির্মাতা। তার অধিকাংশ ছবিই সুপারহিট।
মৌসুমী উত্তরায় পৌঁছে খোকনের স্ত্রী ও সন্তানদের সান্ত্বনা দেন। বাদ জোহর তার নামাজে জানাযা হয় উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের মাটির ঘর মসজিদে। এরপর তার লাশ নেওয়া হয় এফডিসির উদ্দেশে।
শোকাহত মৌসুমী খোকন সম্পর্কে বেশি কথা বলতে পারেননি। কথা বলার সময় কেঁদেছেন তিনি। মৌসুমী বলেন, ‘আমার পক্ষে তেমন কিছু বলা সম্ভব নয়। খোকন ভাই খুব বড় মাপের পরিচালক ছিলেন। আজ তিনি অামাদের মাঝে নেই। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। উনি চির শান্তিতে থাকতে পারেন সেই দোয়া করবেন আপনারা। আসলে উনি ভালো মানুষ ছিলেন, ভালো মনের মানুষ ছিলেন। ভালো গুণের অধিকারী ছিলেন। ’
মৌসুমী আরও বলেন,‘সারাজীবন দেখেছি উনি মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষকে ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করেননি। ভালোবাসা পেয়েছেনও। তার প্রতি কারো যদি কোনো দাবি থাকে, সেই দাবি ছেড়ে দেবেন প্লিজ। ’
সকাল সোয়া ৮টায় রাজধানীর উত্তরায় আধুনিক হাসপাতালে মারা যান খোকন। কয়েক মাস ধরে এখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খোকনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৌসুমীর পাশাপাশি অনেকেই ছুটে গেছেন খোকনের বাসায়। অভিনেতা রুবেল, ওমর সানি, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, রায়হান মুজিব প্রমুখও সকালে হাজির হন খোকনের বাসায়।
‘ঘাতক’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘লাল সবুজ’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’সহ দুর্দান্ত সব চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন খোকন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রক্তের বন্দি’। এরপর তিনি তৈরি করে করেন ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘বিপ্লব’, ‘অকর্মা’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘টপ রংবাজ’, উত্থান পতন’ প্রভৃতি ব্যবসাসফল সিনেমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬
এসও