একই পরিচালকের ২৯টি ছবিতে কোনো অভিনেতার অভিনয়ের ঘটনা বিরল। শহীদুল ইসলাম খোকনের পরিচালনায় এই নজিরবিহীন ঘটনাই করে দেখিয়েছেন চিত্রনায়ক রুবেল।
খোকন-রুবেল জুটির ছবির তালিকায় আছে ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘সন্ত্রাস’, ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘ঘাতক’, ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ‘বিপ্লব’, ‘উত্থান পতন’, ‘টপ রংবাজ’, ‘শত্রু ভয়ংকর’, ‘অপহরণ’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘দুঃসাহস’, ‘লম্পট’, ‘রাক্ষস’, ‘নরপিশাচ’, ‘পাগলা ঘণ্টা’, ‘ভন্ড’ প্রভৃতি।
শহীদুল ইসলাম খোকন এখন স্মৃতি। সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। খবর পেয়ে উত্তরায় তার বাসায় গিয়েছিলেন রুবেল। এরপর বিকেলে এফডিসিতে প্রয়াত নির্মাতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তিনি।
রুবেল বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘কলেজ জীবন থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিলো। আমাদের পারিবারিক যোগাযোগও হতো। তিন বছর ধরে তিনি অসুস্থতায় ভুগেছেন। এ সময়ে বিশেষ করে শেষ এক বছরে তার স্ত্রী জয় ইসলাম যেভাবে সব সামলেছেন তা উল্লেখ করার মতো ঘটনা। আমি মনে করি, জয়ের কাছ থেকে কিছু শিখতে পারেন আমার মায়েরা-বোনেরা। ’
সরকারের কাছে রুবেলের দাবি, শহীদুল ইসলাম খোকনকে স্মরণ করা যাবে এমন ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি বা স্মৃতিচিহ্ন গড়ে তোলা হোক তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নবীন নির্মাতারা তার কাজ সম্পর্কে জানবে এমন আর্কাইভও থাকবে এফডিসিতে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন দীর্ঘদিন মুখগহ্বরে নার্ভের বিরল অসুখ মোটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত ছিলেন। এই রোগের বস্তুত কোনো চিকিৎসা নেই। তাকে বেশ লম্বা সময় ধরে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ এপ্রিল ০৪, ২০১৬
এসও/জেএইচ