‘আশি ও নব্বই দশকে চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন শহীদুল ইসলাম খোকন। চলচ্চিত্রে এখন পুনর্জাগরণ হচ্ছে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাবের পাশে খোকনের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, তার কাজ সম্পর্কে মানুষ জানুক, তার কাজগুলো সংরক্ষিত হোক। ’
এখানে বাদ আছর খোকনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছিলেন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, সোহেল রানা, আলমগীর, ওমর সানি, আলীরাজ, মিজু আহমেদ, ড্যানি সিডাক, হেলাল খান, সাইমন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর, অভিনেত্রী আনোয়ারা, পরিচালক আমজাদ হোসেন, ছটকু আহমেদ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সোহানুর রহমান সোহান, বদিউল আলম খোকন, গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রমুখ।
এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, ‘তিনি ধী-শক্তিসম্পন্ন পরিচালক ছিলেন। অল্প বাজেটে দর্শকের উপযোগী করে ভালো ছবি বানানোর চেষ্টা তার মধ্যে বরাবরই দেখেছি। নবীন পরিচালকদের কাছে তিনি উদাহরণ হয়ে থাকবেন। ’
আলমগীর শোকাহত কণ্ঠে তেমন কিছু বলতে পারেননি। আনোয়ারা বলেছেন, “তার সঙ্গে কাজের সম্পর্কটা মজার ও সুন্দর ছিলো। আমরা দু’জনই পান খেতাম। শুটিংয়ে আমার পান শেষ হয়ে গেলে তার কাছে গিয়ে চাইলে বলতেন, ‘আমি তো সব পান খাই না, শুধু মহেশখালীর পান খাই। ’ তার কাছে ঢাকায় বসেও মহেশখালীর পান পেতাম। তার শুন্যতা পূরণ হবে না চলচ্চিত্রে। ”
এফডিসি ছিলো শহীদুল ইসলাম খোকনের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল। তার মৃত্যুতে তাই চলচ্চিত্রের এই প্রাণকেন্দ্রে দেখা গেলো শোকের আবহ। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি কালো ব্যানারে মরহুমকে স্মরণ করেছে। তিনি এই সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
সোমবার সকালে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে মারা যান শহীদুল ইসলাম খোকন। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যা রেখে গেছেন। এফডিসিতে খোকনের পুত্র হৃদয় ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাবা প্রতিদিনই ঘরে ফিরে তিন সন্তানকে না পেলে অস্থির বোধ করতেন। তিনি বাসায় ফেরার আগে ঘুমিয়ে পড়লে সন্তানদের কাছে গিয়ে তারপর নিজের ঘরে যেতেন। এমন বাবা কয়জনের হয়? আর তিনি কতো ভালো পরিচালক সেটা সবাই জানেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ এপ্রিল ০৪, ২০১৬
এসও/জেএইচ