নোবেল বিজয়ী নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের বিখ্যাত নাটক 'ওয়েটিং ফর গডো'। অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর অনুবাদে ‘গডোর প্রতীক্ষায়’ ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয়।
এদিন ছিলো রজতজয়ন্তী মঞ্চায়ন। থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনীর প্রযোজনার নাটক‘গডোর প্রতীক্ষায়’ নির্দেশনা দিয়েছেন আতাউর রহমান।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ণ করেন রাজা, শারমীন, জয়িতা, সিক্ত,রানা ও তিশানা। নাটকের আলো ও সেট পরিকল্পনা করেছেন জুনায়েদ ইউসুফ এবং শব্দ-সংগীত পরিকল্পনা করেছেন অজয় দাস।
নাটকটির ২৫ তম মঞ্চায়ন ঘিরে শুরু থেকেই নাটকের সকল মঞ্চের সামনে ও পেছনের কলাকুশলীদের মনে ছিলো অন্য রকম আনন্দ।
‘গডোর প্রতীক্ষায়’ নাটকটি তে দেখানো হয় বিচার পাবে না নিশ্চিত হয়ে মানুষ যেমন শত্রুর বিচারের ভার ঈশ্বরে অর্পণ করে সাময়িক সান্ত্বনা খোঁজে, অনেকটা সেভাবে ভ্লাদিমির ও অস্ট্রাগন জীবনের অকূল দরিয়ায় কোনো কূল খুঁজে না পেয়ে মনগড়া একজনের জন্য অপেক্ষা করে। যে আসবে তার নাম গডো। গডো আসে না, আসে ক্ষমতাধর পোৎসো এবং পোৎসোর পোষ্য সময়ের বিবর্তনে ক্ষয়িষ্ণু লাকি। একজনের ক্ষমতার দম্ভ অন্যজনের অনুগত থাকার আগ্রহ। এই আসা-যাওয়ার ভিড়ে মনগড়া স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার অবলম্বন হয়ে আসে স্বপ্ন জাগানিয়া এক বালক। মহাকালের বিবর্তনে ক্ষমতাধর পোৎসো তার ক্ষমতা হারায়, গডো আসবে আসবে বলে আসেনা। কিন্তু ভ্লাদিমির-অস্ট্রাগন আশায় আশায় অপেক্ষা করেই চলে।
রজতজয়ন্তী উপলক্ষে নাটকটির নির্দেশক আতাউর রহমান বলেন, ‘আজকাল ছেলে- মেয়েরা মঞ্চে কাজ করতে আগ্রহী নয়। কিন্তু এই নাটকের সব চরিত্রে আছে তরুণরা। সব চেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো একটা সময় ছিলো যখন ছেলেরা মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতো। কিন্তু এই নাটকে মেয়েরা ছেলেদের চরিত্রে অভিনয় করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
টিএস/ এসও