‘চিত্ত জাগুক গানে গীতে কাব্যে কথায়’- এই স্লোগান নিয়ে শুরু হলো পাঁচ দিনের বৈশাখ উৎসব। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বেঙ্গল শিল্পালয় অঙ্গন এখন লোকে লোকারণ্য।
উৎসবের প্রথম পর্ব শুরু হয় সিলেট থেকে আগত ‘গীতবিতান বাংলাদেশ’ নামে সংগঠনের শিশুদের সমবেত সংগীত দিয়ে। এর মধ্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘আজি নূতন রতনে’, মাইকেল মধুসূন দত্তের ‘রেখো মা দাসিরে মনে’ ও তরুণ মজুমদারের লেখা ‘এসো প্রাণ ভরানো’ গানগুলো উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সংগঠনটি পরিবেশন করে ‘ওপেন্টি বায়োস্কোপ’, ‘আমপাতা জোড়াজোড়া’সহ বেশকিছু প্রচলিত ছড়া। প্রথম অধিবেশনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
এরপর মেপল লীফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশুশিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে গাইলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আলো আমার আলো’। ছিলো ‘এই বাংলা রবি ঠাকুরের গান’সহ বেশ কিছু গান। গানের আয়োজনের পাশাপাশি ‘আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্দ ছায়ায়’, ‘হলুদ গাঁদার ফুল’ গানের সঙ্গে সমবেত নাচের মধ্য দিয়ে যেন আগেভাগেই বৈশাখ বরণ করলো শিশু-কিশোররা।
এই উৎসবের দ্বিতীয় পর্বের মূল আকর্ষণ ছিলো এক ঘন্টাব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্য। পরিবেশনায় ছিলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সংগঠন বাংলাদেশ পুতুলনাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র। ড. রশীদ হারুনের পরিচালনায় মুনির চৌধুরীর রচনা অবলম্বনে ‘কুপোকাত’, পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘টোনাটুনি’ ও উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরীর ‘নাককাটা রাজা’র উপস্থাপনা শিশুদের মন্ত্রমুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরসহ অভিভাবক ও বিভিন্ন বয়সী দর্শকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যা ৭টায় নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় অধিবেশনে থাকছে নজরুল সংগীতের বিশেষ আয়োজন। শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন চম্পা বণিক, শহিদ কবীর পলাশ, লতিফুন জুলিও, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, মোহাম্মদ শোয়েবসহ আরও অনেকে। নববর্ষ উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এই আয়োজন চলবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৬
এসও