পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে আলাদা হয়ে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর ও তার স্বামী ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর। গত ৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট স্ট্যাম্পে সিল মেরে তাদেরকে বিচ্ছেদ ঘটানোর অনুমোদন দিয়েছেন।
এক ঘণ্টার কার্যবিবরণী শেষে বিচারক এ কে সিকরি ও আর কে আগ্রাওয়ালের বেঞ্চ এই অনুমোদন দেন। তার আগে কারিশমা-সঞ্জয় নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য তুলে ধরে বিচ্ছেদের কার্যবিধিকে এগিয়ে নেন।
বিচ্ছেদের পর আদালতের কাছে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কারিশমা-সঞ্জয়। চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী দুই সন্তান সামায়রা ও কিয়ান থাকবে কারিশমার কাছে। খারে সঞ্জয়ের বাবা প্রয়াত সুরিন্দর কাপুরের কেনা ফ্ল্যাটটি হস্তান্তর করা হয়েছে বলিউডের এই অভিনেত্রীর নামে।
এদিকে ছেলেমেয়ের কাছে মাসে দু’বার যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। এ ছাড়া সামায়রা ও কিয়ান বাবার সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ১৫ দিন, শীতকালীন সময়ে ৭ দিন এবং অন্যান্য ছুটির সময়ও থাকতে পারবে। ছেলেমেয়ের জন্য কেনা হয়েছে ১৪ কোটি রুপির বন্ড। এগুলোর মাসিক মুনাফা আসবে ১০ লাখ রুপির মতো।
বিচ্ছেদের আগেই আর্থিক দিকগুলোর ব্যাপারে মীমাংসা করে ফেলেছেন কারিশমা-সঞ্জয়। এ ছাড়া স্বামী ও শাশুড়ি রানি কাপুরের বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানি ও পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ তুলে নিতে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে কারিশমাকে। তাই তাদের বিরুদ্ধে নিবন্ধিত এফআইআর বাতিল করেছেন আদালত।
কারিশমার আইনজীবী সন্দীপ কাপুর ও মহেশ জেথমালানি এবং দিল্লির ব্যবসায়ী সঞ্জয়ের উকিল প্রিয়া ও আমান হিঙ্গোরানি জানান, পারস্পরিক সমঝোতার ব্যাপারটি আগামী ১৩ জুন বান্দ্রা পারিবারিক আদালতে জমা দেওয়া হবে। ২০০৩ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন দু’জনে। ২০১৪ সালে তাদের ১২ বছরের সংসারের ইতি ঘটে। এরপর পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে বিচ্ছেদ চাইলে চূড়ান্ত শুনানির আগে মতবিরোধ ছিলো তাদের মধ্যে।
এদিকে কারিশমার বাবা রণধীর কাপুর বলেন, ‘জানি না ভালো হলো নাকি খারাপ। তবে ওর বিচ্ছেদ আমাদের পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক মুহূর্ত। ইতিবাচক ব্যাপার হলো, ওর ছেলেমেয়েরা বছরের বেশিরভাগ সময় আমাদের সঙ্গেই থাকবে। গত কয়েক বছর খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে লোলো (কারিশমার ডাকনাম)। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ