বাঙালির মন ও মনন এবং জীবনের সব প্রান্তের প্রাণস্ফূর্তিতে প্রাসঙ্গিক দুই কবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বেঙ্গল শিল্পালয়ে পাঁচ দিনের বৈশাখ উৎসবের প্রথম দুই দিন সাজানো হয় এ দুই কবির সৃষ্টিকর্ম নিয়ে।
উৎসবের প্রথম দিনের আয়োজনে ছিলো নজরুলের গান ও কবিতা। দ্বিতীয় দিনে রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষের আগমনী বার্তা দিলেন দেশবরেণ্য শিল্পীরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বাচিক শিল্পী হাসান আরিফ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, ছিন্নপত্র ও কবিতায় সাজানো ছিলো পুরো আয়োজন। গানের ফাঁকে ফাঁকে হাসান আরিফ আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন কবিগুরুর কবিতা ও ‘ছিন্নপত্র’।
মূল আকর্ষণ ছিলো খ্যাতিনামা শিল্পীদের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনা। শুরুতেই গান গেয়ে শোনান সেমন্তী মঞ্জরী। এরপর একে একে গাইলেন সৈকত মজুমদার, ফারহিন নুসরাত জয়িতা, শামা রহমান, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, বুলবুল ইসলাম, মহিউজ্জামান চৌধুরী। বুলবুল ইসলাম গাইলেন ‘না যেওনা, যেওনা কোথাও’, ‘প্রখর তপন তাপে’। অদিতি মহসিন গেয়েছেন ‘ভালবেসে সখী নিভৃতে যতনে’, ‘আজি যে রজনী যায়’।
শেষ আকর্ষণ ছিলেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে দুটি গানের পরিবেশনা। প্রথমেই সবাইকে আগাম নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি গেয়েছেন ‘আজি বিজন ঘরে’ গানটি। এরপর গাইলেন ‘বুঝি ঐ সুদূরে ডাকিল মোরে’। সব পরিবেশনা দেখতেই বেঙ্গল শিল্পালয় প্রাঙ্গণে ছিলো দর্শক-শ্রোতার উপচেপড়া ভিড়।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পাঁচ দিনের এ উৎসবের তৃতীয় দিন থাকবে তিন কবি, পুরাতনী ও রাগাশ্রয়ী সংগীত। চতুর্থ দিন লোকসংগীত ও উৎসবের শেষ দিন উচ্চাঙ্গসংগীতের বিশেষ আয়োজন।
বাংরাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৬
জেএম/জেএইচ