‘তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’- কবি অতুলপ্রসাদ সেনের এই গানের মাধ্যমে যেন জানান দেওয়া হয় সব জরাজীর্ণতা কাটিয়ে বর্ষিত হোক শান্তি। বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ শান্তির বার্তা বয়ে আনুক, এই প্রত্যাশায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বেঙ্গল শিল্পালয় প্রাঙ্গণে চলছে পাঁচ দিনের বৈশাখ উৎসব।
রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তৃতীয় দিনে ছিলো তিন কবি অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গান এবং রাগাশ্রয়ী গানের পসরা। শুরুতে ‘প্রভাতে যারে নন্দে পাখি’ গান গেয়েছেন ফারহানা রহমান কান্তা। রজনীকান্ত সেনের ‘আমি সকল কাজে’ গান নিয়ে মঞ্চে উপবিষ্ট হন অলোক কুমার সেন। এরপর ‘গেলো চলে নিশি জাগিয়া’ রাগাশ্রয়ী গানটি পরিবেশন করেন তিনি। অনিন্দিতা চৌধুরী শ্রোতাদের শোনালেন ‘নাইবা পেলাম দর্শন তোমার’ ও ‘রঙে রঙে কেনো তুমি রাঙালে আমায়’।
মাহমুদুল হাসান পরিবেশন করেন কবি অতুলপ্রসাদ সেনের ‘ওগো নিঠুর দরদী’ গানটি। এরপর একে একে গান গেয়েছেন ঝুমা খন্দকার, তানভীর আলম সজীব ও ইফফাত আরা দেওয়ান। তারা গাইলেন ‘আজি পাল তুলে যাক’, ‘যমুনা কি বলতে পারে’, ‘কার বাঁশি বাজে নিরালায়’, ‘আর কতোকাল থাকবো বসে’, ‘তুমি যে প্রাণের বধূ’, ‘স্বপনে তারে কুড়ায়ে পেয়েছি’।
শেষ আকর্ষণ ছিলো জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী সুবীর নন্দীর উপস্থিতি। তিনি শুরুতে পরিবেশন করেন ‘ভরিয়া পরাণ শুনিতেছি গান’। রূপক তালের গান ‘কি যে ব্যথা বাজে আমার বুকে’র পর তিনি শোনান ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। গানের ফাঁকে তিন কবির জীবনের কিছু ঘটনা শুনিয়েছেন তিনি।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) উৎসবের চতুর্থ দিন রয়েছে লোকসংগীত। শেষ দিন থাকবে উচ্চাঙ্গসংগীত। গত ৯ ও ১০ এপ্রিল ছিলো নজরুল ও রবীন্দ্রসংগীত।
বাংলাদেশ সময় : ০৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৬
জেএম/জেএইচ