অতীতের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা। মরহুম আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির আয়োজনে ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকজ উৎসবের এ বছরের আসর।
আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশ ও জেল রোড থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বসবে এই বৈশাখী মেলা। লালদিঘীর ময়দানের আশেপাশের তিন কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা এ বৈশাখী মেলা বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা। এ উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসেন। মেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি বাহারি ও শৌখিন সব পণ্য পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি নাগর দোলা, সার্কাসসহ বিচিত্র আয়োজন চোখে পড়ে।
ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে ২৫ এপ্রিল হবে বলীখেলা প্রতিযোগিতা। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় বলীখেলার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সার্কেল হেড জনাব এম শাওন আজাদ।
এ বছর বলীখেলায় অংশগ্রহণ করবেন প্রায় দুইশ’ জন বলী। বলীখেলাটি উপভোগ করতে লালদীঘির মাঠে হাজার-হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
মরহুম আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সার্কেল হেড এম শাওন আজাদ এবং হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিকেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে এসব তথ্য জানান।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করতে ও মানুষকে নির্মল আনন্দদানের উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী আব্দুল জব্বার ১৯০৯ সালে বলীখেলার সূচনা করেন। সূচনালগ্ন থেকেই জব্বারের বলীখেলা পুরো চট্টগ্রামজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এসও