চারপাশে কতো আলো, কতো সাজসজ্জা! যে কারো মন ভালো করে দেওয়ার মতো দৃশ্য। উৎসব বলে কথা! কোথাও গানের মঞ্চ, কোথাওবা নাচের, পাশাপাশি চলছে নাটকের প্রস্তুতি।
সম্মান আর ভালোবাসায় সিক্ত মামুনুর রশীদ
মামুনুর রশীদ- নাট্যজগতে বিশিষ্ট এক নাম৷ একাধারে তিনি অভিনেতা, নাট্যকার, নির্মাতা৷ তার অভিনয় ও নাট্যকার পরিচয়টি সমান ভাবে বিস্তার করেছে টিভি ও মঞ্চে। গুনী মানুষের বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প ও ছবি এবার ঠাঁই পেয়েছে বইয়ের মলাটে। ‘মামুনুর রশীদঃ থিয়েটারের পথে’ নামে বইটি লিখেছেন নাট্যকর্মী ফয়েজ জহির ও হাসান শাহরিয়ার। প্রকাশনায় ছিলেন বাংলা প্রকাশন।
২৩ এপ্রিল বইটির মোড়ক উন্মেচন হলো শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালার মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো, চিত্রশিল্পী রফিক-উন-নবী, শিল্পকলার মহা পরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
অনুষ্ঠানে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘মামুনুর রশীদের সঙ্গে আমার মনের অনেক মিল। অনেক কাজ করতে গিয়ে মামুন ভাইয়ের কাছে পরামর্শ নিয়েছি। মামুন ভাই আরো দীর্ঘজীবি হোন। এ কারণে কিছু বাজে অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। ’
অনুষ্ঠানে নাসির উদ্দিন ইউসুফ মামুনুর রশীদকে বাংলার উৎপল দত্ত বলে আখ্যায়িত করেন। নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন ‘পরের প্রজন্মের কাছে আসলে আমাদের দেবার মতো কোনো কিছুই নেই। এমন একটি সম্পদের (গ্রন্থ) অনেক দরকার ছিলো। ’
এ প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন ‘ বইতে যে সকল কথা উল্লেখ নেই সেই কথা আমি অবশ্যই উল্লেখ করবো আমার জীবনীতে। যা সকলে জানতে চান। ’
৫ম জাতীয় যুবনাট্য উৎসবের শুরু
৫ম জাতীয় যুবনাট্য উৎসব শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে ও বেলুন উড়িয়ে। এখানে উপস্থিত ছিলেন অামন্ত্রিত অতিথিরা।
শিল্পকলায় জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিশু নাট্যোৎসবের প্রবক্তা ও জার্মান অ্যামেচার থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি নরবার্ট রাদার মাখার। আরও ছিলেন পিপলস এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এস এস মহসীন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, আগামী প্রজন্মকে নাটকে উৎসাহী করার জন্য এই আয়োজন। নরবার্ট রাদার মাখার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি শিশুদের নিয়ে কাজ করি, আমি মনে করি আজকের শিশুরাই কাল যুবক হয়ে দেশের উন্নয়ন করবে। ’
আট দিনের আয়োজনে ৩০টি নাট্যদল ৩০ টি নাটক মঞ্চায়ণ করবে। প্রথমদিনে (২৩ এপ্রিল) ৫টি নাটক মঞ্চায়ণ করা হয়।
গানমেলা নয়, সংগীত মেলা!
গতবছর প্রথমবার যেখানে গানমেলা হয়েছিলো। সেখানে এবার বসেছে সংগীতমেলা। নামের মতো, আয়োজকও ভিন্ন।
সম্মিলিত সংগীতশিল্পী সোসাইটির উদ্যোগে আটদিনের সংগীত মেলার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এরপর সংগীতে অবদান রাখায় বিশিষ্ট পাঁচজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন- সুজেয় শ্যাম, সাদী মহম্মদ, পাপিয়া সারোয়ার, আব্দুল জব্বার, আপেল মাহমুদ ও কুটি মনসুর। এরপর জি সিরিজের প্রথম প্রকাশনা ‘আমার গানের বই’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সংগীতশিল্পী সোসাইটির আহবায়ক হাসান মতিউর রহমান। প্রথমদিন মঞ্চ মাতিয়েছেন আব্দুল জব্বার, টুনটুন বাউল, কিশোর পলাশ, এফ এ সুমন, প্রিয়াংকা গোপ, ইভা প্রমুখ সংগীতশিল্পী। ব্যান্ড দলের মধ্যে ছিলো ছিলেন বাংলাদেশ ও ব্ল্যাকের পরিবেশনা। সংগীতমেলায় প্রতিদিনই অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি বাংলা গানে অবদানের জন্য শিল্পীদের সম্মাননা দেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস ২০১৬
ক্ষুদে নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। ২৩ এপ্রিল বিকেল পাঁচটায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার ছোটবড় সব নৃত্যশিল্পীর উপস্থিতিতে ঢোলের তালে নৃত্য দিবস উদযাপন শুরু করেন শিল্পীরা। এ সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন কলামিস্ট ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ও লিয়াকত আলী লাকী। ছিলো চারুকলা প্লাজাতে মেলা ও নৃত্যানুষ্ঠান। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনটি যৌথভাবে করছে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’র মঞ্চায়ন
দেশে ও দেশের বাইরে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নাট্য সংগঠন স্বপ্নদলের দর্শকনন্দিত ও আলোচিত প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’র ৪৬তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হলো স্টুডিও থিয়েটার হলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’র গবেষনার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
টিএস/জেএম/এসও