ক্যান্সার আক্রান্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। ছ’ মাসের চিকিৎসা শেষে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।
নিভৃতচারী ও প্রচারবিমুখ বাবাকে নিয়ে অনেকটা নিরবেই ঘরে ফিরেছেন মাম্মিন্তি। ২৫ মার্চ তারা ঢাকায় আসেন। এখন আছেন পুরান ঢাকার বাসায়। ছ’ মাসের কেমোথেরাপি নেওয়ার পর লাকী আখান্দের শারীরিক অবস্থা এখন ভালো।
মাম্মিন্তি বলেন, ‘বাবা এখন ভালো আছেন। জুনে আবার তাকে নিয়ে ব্যাংকক যাবো। ’ মাম্মিন্তি আরও জানান, আগামী জুনেই তাকে নিয়ে আবার যেতে হবে ব্যাংকক। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত লাকীকে সেখানকার পায়থাই হাসপাতালে পরের ধাপের কেমো নিতে হবে তাকে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে ফুসফুসে ক্যান্সার নিয়ে ব্যাংককে পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলেন লাকী। প্রথম দফায় শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফেরেন লাকী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নভেম্বরে তাকে ফের ব্যাংককে নেওয়া হয় তাকে। এ অবস্থায় লাকীর চিকিৎসায় এগিয়ে আসে সরকার।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ লাকী আখান্দকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সপ্তাহ খানেক পর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
লাকী আখান্দ অসংখ্য কালজয়ী গানের সুর তৈরি করেছেন, গেয়েছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— ‘আমায় ডেকো না, ‘এই নীল মনিহার, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, ‘মা মনিয়া, ‘লিখতে পারি না কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেওনা’, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’, ‘এত দূরে যে চলে গেছো’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
এসও