চারপাশে নুপূরের ঝংকার। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও সেজেছে নতুন এক সাজে।
‘গুরু ব্রক্ষ্মা গুরু বিষ্ণু, গুরুদেব মহেশ্বর’- অর্ধশত শিল্পীর নাচের মধ্য দিয়ে গুরুকে সম্মান জানিয়ে শুরু হলো অনুষ্ঠান। উৎসব পরিচালনায় ছিলেন দেশের নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নীপা। অনুষ্ঠানে নৃত্যশিল্পীদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, সংগীত শিল্পী শাকিলা জাফর ও নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতুল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যগুরু লীলা স্যামসন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথি নৃত্যগুরু লীলা স্যামসন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে এসে এমন একটি অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবো তা ভাবতেও পারিনি। বাংলাদেশ নৃত্যে আরও এগিয়ে যাক এই কামনা করি। ’
চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই নাচি, নাচ ভালোবাসি। একজন স্বাভাবিক মানুষ জন্ম থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত নাচে। মানুষের চলার পথে যা কিছু সুন্দর তা সবই নৃত্যলোক’।
অতিথিরা ব্যতিক্রমী উপায়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। প্রতীকী নৃত্যশিল্পীর পায়ে (স্তম্ভ বা স্ট্যাচু) ঘুঙুর পরান তারা অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয় নৃত্যগুরু রাহিজা খানম ঝুনুকে।
সম্মাননা পেয়ে তিনি বলেন, ‘এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়। এই সম্মাননা প্রত্যেক নৃত্যশিল্পীর’।
নৃত্যাঞ্চল উৎসবের প্রথম দিন কেটেছে সফলভাবেই। উৎসব চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রথম দিন নৃত্যাঞ্চল পারফমিং আর্টস একাডেমির শিল্পীদের কত্থক নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হয় কত্থক সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন অংশে দেখানো হয় কত্থকের বিভিন্ন পর্যায়ের নাচ, পাশাপাশি ছিলো শ্রীকৃষ্ণের হোলি খেলা ও লীলা, দেখানো হয় মানুষের প্রতিচ্ছবি। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের অংশগ্রহণও ছিলো কত্থক নৃত্যে।
কত্থক নৃত্যে অংশ গ্রহণকারী শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন স্নাতা, রেখা, রোদেলা, অমৃতা, মুমু, অনু, লাবিবা, ইচ্ছা, তাথৈ, তূর্ণা, অন্তরা, সুপ্রভা, পারিজা, নেহাসহ দুই শতাধিক শিল্পী।
অনুষ্ঠনের দ্বিতীয় দিনে (২৮ এপ্রিল) থাকছে নৃত্যাঞ্চল পারফমিং আর্টস একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘আলীবাবা ও ৪০ চোর’ অবলম্বনে নৃত্যনাট্য ‘বাঁদি বান্দার রূপকথা’।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬
টিএস/এসও