‘আইসক্রিম’ ছবিতে কী আছে?
-এ সময়ের একটা গল্প আছে।
গল্পটা কেমন?
-চারপাশের তরুণ-তরুণীদের জীবনের ঘটনাগুলোই ছবিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘আইসক্রিম’ ছবি নিয়ে এভাবেই আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। সমালোচনাও আছে। সব মিলিয়ে দর্শকের দৃষ্টি কেড়েছে রেদওয়ান রনির ছবিটি। অনেকে রসিকতা করে বলছেন যে, একইসঙ্গে চলিতেছে ও গলিতেছে ‘আইসক্রিম’।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকাসহ দেশের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘আইসক্রিম’। কিছু কিছু হলে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে সাড়া ফেলেছে ‘আইসক্রিম’। সিনেমাপ্রেমী থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক- সবখানে ‘আইসক্রিম’ বন্দনা।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী নির্মাতা রেদওয়ান রনি ‘আইসক্রিম’-এর প্রশংসা পাচ্ছেন উদ্বোধনী প্রদর্শনীর দিন থেকেই। মন্তব্যগুলো ছিলো বোদ্ধা দর্শকের। এবার পাচ্ছেন সাধারণ দর্শকের কাছ থেকে। প্রথম চলচ্চিত্র ‘চোরাবালি’র মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তরুণ এই নির্মাতা। এবার ‘আইসক্রিম’-এ-ও যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন।
‘আইসক্রিম’ ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলো উদয়, তুষি ও রাজের। ত্রিভুজ প্রেমের হাসি-কান্নাকে উপজীব্য করে সময়োপযোগী ছবি বানানোর চেষ্টা করেছেন রেদওয়ান রনি। ‘আইসক্রিম’ প্রচারে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিলো তার টিম। এটা চলচ্চিত্রের জন্য উদাহরণ। ছবির প্রচারে তারা বলেছিলো, ‘আইসক্রিমকে যেমন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় না রাখলে গলে যায়, তেমনি আমরা যদি আমাদের সম্পর্কগুলোকে ঠিকমতো নার্সিং না করি, তাহলে সে সম্পর্কগুলোও ভেঙে যায়। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ভালোবাসার সম্পর্কগুলোর বিভিন্ন পরিস্থিতি দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। ’
বর্তমান পরিস্থিতি, মানুষের মানসিকতার দ্রুত পরিবর্তন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আধিপত্য প্রভৃতি বিষয়গুলো একটি সুন্দর সম্পর্কের মাঝে দোটানার জন্ম দেয়। তাই ভালোবাসার সম্পর্ককে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। নার্সিংটা বেশ যত্ন সহকারে না হলে সম্পর্ক নামের গাছটা আগাছার আক্রমণে মারা যায়। ‘আইসক্রিম’ ছবিতে একটি সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে যে যত্ন ও পরিচর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
‘আইসক্রিম’ প্রযোজনা করেছে পিং-পং এন্টারটেইনমেন্ট, পপকর্ন ফিল্মস এবং টপ অব মাইন্ড। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, ওমর সানী, নাদিয়া খানম, প্রয়াত দিতি ও সায়েম সাদাত।
‘আইসক্রিম’ ছবিটি চলছে ঢাকার বলাকা, শ্যামলী, স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, অভিসার, রাজমণি ও আজাদ হলে। ঢাকার বাইরের হলগুলো হলো- মিনি গুলশান (জিঞ্জিরা), রানীমহল (ডেমরা), আনারকলি (টঙ্গী), নন্দিতা ও সাগরিকা (গাজীপুর), পূরবী (চট্টগ্রাম), উপহার (রাজশাহী), শঙ্খ (খুলনা), মমতাজ (সিরাজগঞ্জ), রুপকথা (শেরপুর), তাজ (নঁওগা), কেয়া ও কানন (টাঙ্গাইল), কল্লোল (মধুপুর) ও সাধনা (রাজবাড়ী)।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৬
জেএম/এসও/জেএইচ