ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শুক্রবার মঞ্চে ‘বাঘের শিন্নি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
শুক্রবার মঞ্চে ‘বাঘের শিন্নি’

সিলেট: ‘বাঘের শিন্নি’, এক বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি। যুগ যুগ ধরে গ্রামীণ সমাজে বাঘ তাড়ানোর যে গল্প, সে গল্পেরই চরিত্র রচনা ও নির্দেশনা দিয়ে মঞ্চে নিয়ে আসছেন প্রথিতযশা নাট্যব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ।

শুক্রবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হবে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।

মেঘালয়ের পাদদেশে লৌকিক পীর আরফিন শাহের মাজারে বাঘ তাড়ানোকে কেন্দ্র করে ‘বাঘের শিন্নি’ নামে শিরনি দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়। বাঘের শিন্নির মূল চালিকাশক্তি গ্রামের গৃহস্থদের আস্থাভাজন রাখালরা।
নাচ-গান বাদ্য-বাজনায় বাঘ তাড়ানোর রীতি-নীতি হয়ে উঠে এক নতুন সংস্কৃতি। নাট্যকার ভবতোষ রায় বর্মণ বাঘকে সমাজ জীবনের পশুত্বের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লেবাসধারী পশু এবং ৭১ পরবর্তী মানুষরূপী প্রেতাত্মাদেরও নাটকের গল্পে সরাসরি তুলে ধরা হয়েছে।

নাটকে অভিনয় করেছেন খলিলুর রহমান ফয়সাল, আলীরেজা হাসিব, সজয় দাশ, সুকান্ত ভট্টাচার্য, ভক্তি দাশ, দেবী রাজলক্ষী তালুকদার, সৈয়দ সুমন, আদনান নাহিয়ান, রাফসান অনন্ত, নিলয় তালুকদার, বাহাউদ্দিন নাসিম, হাবিবুর রহমান তালুকদার, বুরহান উদ্দিন, আশরাফুল আহমেদ, হামিদা খানম লীনুসহ নাটক বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীরা।

নাট্যকার ভবতোষ রায় বর্মণ বলেন, বাঘের শিন্নি নাটকে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ভাটির বিলুপ্ত সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছি। যুগ যুগ ধরে রাখালরা দেশ ও সমাজকে রক্ষা করে আসছেন। মুক্তিযুদ্ধেও গ্রামের রাখালরাই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধটা গড়ে তোলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।