‘এ দেশে পপ ও রকসংগীতের পথিকৃৎ আজম খান জীবনে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। তিনি এতো সাধারণ ছিলেন যে, বস্তিতেও দিন কাটিয়েছেন।
রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ভবনে এ স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড’স অ্যাসোসিয়েশন (বামবা)। সংগঠনটির সভাপতি হামিন আহমেদ বলেন, ‘আমি আজম খানকে প্রথম দেখেছিলাম একটি কনসার্টে। গায়কী আর স্টাইল দেখে তার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তিনিই আমার অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেন। আমি তার গান মনযোগ দিয়ে শুনতাম এবং নিজেও চেষ্টা করতাম গাওয়ার জন্য। এরপর তার সান্নিধ্যে অনেকবারই এসেছি। তার জন্যই আসলে আমরা রক মিউজিক নিয়ে আজ বাংলাদেশে কাজ করছি। তার প্রাপ্য অনেক, কিন্তু আজও কি তিনি সেই মূল্য পেয়েছেন?’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আজম খানের সহোদর সুরস্রষ্টা আলম খান স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সংগীত জীবনের শুরুর দিকে আবদুল লতিফের গণসংগীত গাইতো আজম। একদিন আমাকে বললো, ‘মেজো ভাই, আমি তো গান কিছু জানি না। না শিখেই গান গাই। আপনার কাছে গান শিখতে চাই। ’ ওকে বললাম শেখাবো। আমার আরেক ছোট ভাই অভিমান করে বলেছিলো, ‘আমি গান শিখতে চাইলাম, কিন্তু আপনি না করলেন। আর এখন আজমকে গান শেখাবেন!’ আমার একটা ঘর ছিলো, ওখানেই নিজের ব্যান্ড নিয়ে গান অনুশীলন করতো আজম। ও গানের প্রতি এতোই মগ্ন থাকতো যে আমাকেও চিনতো না!’
বামবার সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল আলম টিপু বলেন, ‘আজম খানের মতো একজন গুণী শিল্পীর জায়গা কখনও ভরাট হবে না। পপগুরু চলে গেলেও আমাদের হৃদয়ে আছেন, থাকবেন চিরকাল। ’ এ ছাড়া ছিলেন সংগীতশিল্পী ফুয়াদ নাসের বাবু, কাজী হাবলু, আজম খানের মেয়ে ইমা খান, তার পরিবারের সদস্য, বামবার সদস্য এবং ভক্ত-অনুরাগীরা।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন আজম খান। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে ২০১১ সালের ৫ জুন সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৬
জেএম/টিএস/জেএইচ