ঢাকার বনানীর ১১ নম্বর সড়কের একটি রেস্তোরাঁ। দোতলায় লিফট থেকে বেরোতেই চোখে পড়লো সাদামাটা শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত।
পরিচালক অনিমেষ আইচের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যামেরার অবস্থান ঠিক করা হচ্ছে। তিনি কিছুক্ষণ পরপর সব নজরদারি করার পাশাপাশি ক্যামেরার ফ্রেম ঠিক করে নিচ্ছেন। দৃশ্যটিতে রেস্তোরাঁর ম্যানেজারের হাতে কিছু টাকা থাকা লাগবে। শুধু কিছু টাকা নয়, আসলে দরকার এক বান্ডেল টাকা। কার কাছে কতো টাকা আছে তা জড়ো করেই বানানো হবে টাকার বান্ডেল। এ সিদ্ধান্তে স্থির হলেন পরিচালক।
দৃশ্যটির জন্য ছুরিও প্রয়োজন। কিন্তু ক্যাশ কাউন্টারে এই হাতিয়ার পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। তাই এন্টিকাটারকে অস্ত্র বানানোর সিদ্ধান্ত হলো। সব উপকরণ চূড়ান্তের পর হাজির করা হলো গল্পের ম্যানেজার ও স্বত্ত্বাধিকারীকে।
কাউন্টারের সামনে এলেন বিপাশাও। তার চরিত্রের নাম আলেয়া। তিনি এ রেস্তোরাঁর ক্লাউন হিসেবে কাজ করেন। এখানে পরিবারের সঙ্গে খেতে আসা শিশু-কিশোরদের মজার অঙ্গভঙ্গি করে আনন্দ দেন তিনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি পরেন মিকি মাউসের পোশাক। পুত্র অসুস্থ হয়ে পড়ায় আলেয়া তার পারিশ্রমিক চাইতে গেলে গড়িমসি করে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। তখন তিনি কি করেন সেটারই দৃশ্যায়ন হবে এখানে।
দৃশ্যটি দু'বার মহড়া করার পর শুরু হলো ধারণ কাজ। পরিচালক বসলেন মনিটরের সামনে। শুরুতেই বিপাশা ম্যানেজারের কাছে মিনতি করে বলছেন, ‘ও স্যার…স্যার গো। আমারে আমার বেতনের টাকাটা দিয়া দেন। আমার পোলাডার অনেক অসুখ। ’ কিন্তু এখন টাকা দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন ম্যানেজার। তারপরও আকুতি-মিনতি করেছে আলেয়া। এক পর্যায়ে উপায় না দেখে কাউন্টারের ওপর রাখা এন্টিকাটারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন তিনি। তৎক্ষণাৎ দেরি না করে লিফটে চড়ে নেমে যান।
পরিচালক জানালেন, এবার সবাই মিলে চলে যাবেন অন্য লোকেশনে। তার পরিচালনায় দুই বছর আগে ‘মা’ টেলিছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন বিপাশা। আদতে ওটাই ছিলো তার সবশেষ অভিনয়। তিনি নিজেই বাংলানিউজকে এ তথ্য দিলেন। এবারের ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি। গল্পটা অভিনেত্রী ভাবনার, চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন অনিমেষ আইচ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৬
টিএস/জেএইচ