বাড়িতে সন্তানদের দেখাশোনার বেলায় সাধারণত নারীদের কাঁধেই সব দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়। এই অসম বোঝা সবার সামনে তুলে ধরে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘ নারীর শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত হলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথাওয়ে।
বিশ্বব্যাপী নারীরা মা হলেই তথাকথিত কিছু বৈষম্যের শিকার হন। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে পারিশ্রমিক ও সুযোগ দুটোই কমে আসে তাদের জন্য। শিশুর লালন-পালনের ক্ষেত্রে মা ও বাবা উভয়ের দায়িত্ব সমান- এ বিষয়ে জাতিসংঘ এখন গুরুত্বারোপ করছে। লিঙ্গ সমতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে উৎসাহ দেওয়াই জাতিসংঘ নারী সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।
নারীদের জন্য সুযোগ বাড়াতে বুদ্ধি ও আবেগপ্রবণ বিষয়গুলো মোকাবেলা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন হ্যাথাওয়ে। আলোচনার মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছাদূত নির্বাচন করা হয়। সন্তানের দেখাশোনা এবং মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি বিষয়ক কর্মপন্থার অবকাঠামো তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করবেন তিনি। এক বিবৃতিতে অ্যান বলেছেন, ‘লিঙ্গ সমতার জন্য সহযোগিতা করার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত। ’
দীর্ঘদিন ধরে নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখছেন অ্যান হ্যাথাওয়ে। নারী শিক্ষার ওপর সিএনএন-এর প্রামাণ্যচিত্র ‘গার্ল রাইজিং’-এ ধারাবর্ণনা দেন তিনি। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কেনিয়া ও ইথিওপিয়ায় গিয়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা।
২০১৩ সালে ‘লে মিজারেবল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার জেতেন অ্যান। তার বিখ্যাত ছবির তালিকায় আরও আছে ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’, ‘ব্রোকব্যাক মাউন্টেন’, ‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস’ প্রভৃতি। ২০১১ সালে হলিউড অভিনেতা জেমস ফ্রাঙ্কোর সঙ্গে যৌথভাবে অস্কার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনি।
হলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এ ছাড়া সম্প্রতি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলে নিযুক্ত হন অ্যাশলি জুড।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৬
জেএইচ/এসও