বরেণ্য সংগীতশিল্পী সৈয়দ অাব্দুল হাদীর সংগীতজীবন ৫৬ বছরের। তার গাওয়া কালজয়ী গানের মধ্যে চলচ্চিত্রের গানই বেশি।
চারটি অ্যালবামে ঠাঁই পেয়েছে আধুনিক, চলচ্চিত্র ও দেশাত্মবোধক গানগুলো। সবই রিমেক করা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন সংগীতায়োজনে গেয়েছেন সৈয়দ অাব্দুল হাদী। এরই মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে, অচিরেই বাংলাঢোল বাজারে আনবে এগুলো।
শুক্রবার (১ জুলাই) ৭৫তম জন্মদিনে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে অনুভূতি ভাগাভাগি করতে গিয়ে সৈয়দ আবদুল হাদী আরও জানান, আত্মজীবনী প্রকাশের ইচ্ছে আছে তার। অনেকেই তাকে তাগাদা দিয়েছেন পাণ্ডুলিপি তৈরির জন্য। তিনি জানান, তারকালোকে ধারাবাহিকভাবে কিছুদিন লিখেছিলেন। নতুন করেও লিখছেন।
সৈয়দ আব্দুল হাদী জানান, পরিবারের সঙ্গেই জন্মদিন কাটছে তার। সাধারণত জন্মদিন পালন না করলেও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কারণে চুপচাপ থাকার সুযোগ হয় না। জন্মদিন উপলক্ষে একাধিক টিভি চ্যানেলে হাজির হয়েছেন গুণী এই গায়ক। এদিকে সন্ধ্যায় তার বাসায় ভক্তরা আসবেন শুভেচ্ছা জানাতে।
৭৫তম জন্মদিনে দাঁড়িয়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব করছেন না সৈয়দ আবদুল হাদী। তিনি বলেন, ‘পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কখনও ভাবি না। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে, গান গেয়ে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার। চলার পথে একটা ব্যাপারে সচেতন ছিলাম, ভালো মানের গান করতে হবে। ’
সৈয়দ আব্দুল হাদী কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা গায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। বর্ণাঢ্য সংগীতজীবনে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘যেও না সাথী’, ‘চোক্ষের নজর এমনি কইরা’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘চলে যায় যদি কেউ’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৬
এসও/জেএইচ