ফুসফুসের ক্যানসার আক্রান্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক (বারডেম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার (১৩ জুলাই) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে লাকী আখন্দের কন্যা মাম্মিন্তি জানান, কয়েকদিন আগে গুণী এই শিল্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেমোথেরাপির ফলে মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগছিলেন তার বাবা। এখন অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। এর বেশি তথ্য দিতে অপারগ মাম্মিন্তি।
ছ’মাসের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন লাকী। এরপর বাসায়ই সময় কাটছিলো তার। কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছিলো।
মাম্মিন্তি সে সময় জানিয়েছিলেন, এ বছরের জুনে তার বাবাকে নিয়ে আবার ব্যাংকক যেতে হবে। জুন পেরিয়ে গেলেও তাদের যাওয়া হয়নি। এখন জানালেন, আপাতত ব্যাংকক যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যানসারে আক্রান্ত লাকীকে সেখানকার হাসপাতালে গিয়ে আরও পাঁচটি কেমো নেওয়ার কথা ছিলো।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়ায় লাকী আখন্দকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। তখনই ব্যাংককের পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রথম দফায় শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফেরেন লাকী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নভেম্বরে তাকে ফের ব্যাংককে নেওয়া হয়। এ অবস্থায় তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসে সরকার।
লাকী আখন্দ অসংখ্য কালজয়ী গান সুর করেছেন, গেয়েছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ‘আমায় ডেকো না, ‘এই নীল মনিহার, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, ‘মামনিয়া, ‘লিখতে পারি না কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’, ‘এতো দূরে যে চলে গেছো’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৬
এসও/জেএইচ