নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সহকারী ছাইব বাপ্পী ও ফারুকীর আরেক সহকারী মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সহকারী এহসানুল হক চৌধুরী যৌথভাবে পরিচালনা করছেন ‘শ্যাওলা’। এটাই তাদের প্রথম ছবি।
এর আগে অনেক পরিচালকের প্রথম ছবিতে কাজ করেছেন ফেরদৌস। যেমন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’, এনামুল করিম নির্ঝরের ‘আহা!’ সামিয়া জামানের ‘রানীকুঠির বাকি ইতিহাস’, একে সোহেলের ‘খায়রুন সুন্দরী’।
ফেরদৌস বললেন, “আমাকে নিয়ে যেসব পরিচালক তাদের প্রথম ছবি বানিয়েছেন, কোনো না কোনোভাবে সবই সফল হয়েছে। হয় ব্যবসা, নয়তো প্রশংসা পাওয়ার দিক দিয়ে এগুলো সফল। আমার আশা, সেই ধারাবাহিকতায় ‘শ্যাওলা’ও নতুন ছাপ রাখবে দেশীয় চলচ্চিত্রের এই ক্রান্তিলগ্নে। ”
দুই নবীন পরিচালকের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘তাদেরকে ফিরিয়ে দেইনি কারণ নতুনরা যদি নিজেদেরকে প্রমাণের চেষ্টা করে, তখন পাশে দাঁড়ালে তারা আরও ভালো কাজের স্পৃহা পায়। ’
রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ফেরদৌস-পায়েলের পাশাপাশি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক খোরশেদ আলম খসরু, দুই লন্ডন প্রবাসী প্রযোজক মোহাম্মদ রাজ ও বাবুল আক্তার ববি।
লন্ডনে বাঙালিদের বৃহত্তর একটি অংশ বসবাস করে। তাই বাংলাদেশ ও কলকাতার অভিনয়শিল্পী এবং লন্ডন প্রবাসী প্রযোজককে মিলিয়ে এটাকে তিন বাংলার ছবি হিসেবে মন্তব্য করেছেন ফেরদৌস। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, বাংলা ছবির একটা বিশ্বায়ন হতে যাচ্ছে এ ধরনের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। লন্ডনে বসবাসরত দুই বাঙালি যে বাংলাদেশে এসে অর্থলগ্নির ইচ্ছা পোষণ করেছেন সেজন্য আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরনের ভালো উদ্যোগ, ভালো ছবি আমাদের চলচ্চিত্রকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ’
যোগ করে ফেরদৌস আরও বলেন, ‘মাঝে আমাদের চলচ্চিত্রে বেশ খারাপ সময় গেছে। এটা আমরা সবাই জানি। তবে গেলো ঈদ থেকে আমাদের চলচ্চিত্রে আবার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
জেএইচ