প্রতি মুহূর্তের ভালোলাগা ভাগাভাগির সঙ্গী ফেসবুক। তাই বলে ক্ষোভ, অভিমান বা মন্দলাগার কথা চাপা পড়ে থাকবে? তেমনটি নয়।
এই নোংরামিকে মেনে নিয়েছি
আঁখি আলমগীর, সংগীতশিল্পী
ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে কনসার্টের উদ্দেশে যখন শিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীরা যাত্রা শুরু করে, তখন তাদের গল্পের খোরাক হয় অন্য শিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীরা। ‘কুটনামি’ আর কি। তখন ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যে, ‘আমরা ছাড়া বাকি সব বিরাট আইটেম। আমরা তুলসীর ছায়ায় আচ্ছাদিত মহান এক একজন প্রাণ এবং সংগীতজগতকে শুধু আমরাই সমৃদ্ধ করছি। এহেন মন-মানসিকতা আমাদের সবার পরিহার করতেই হবে। বাতাসে কান পাতার আগেই কথাগুলো দরজায় এসে হাজির হয়। ফ্রি ডেলিভারি কারও পথের গল্পের খোরাক হতে আমার আপত্তি খুব একটা নেই যদিও। কারণ আলোচনা-সমালোচনা তাকে নিয়েই হয় যে আসলেই হিংসার মতোই কেউ। তাই এই নোংরামিকে আমি মেনে নিয়েছি অনেক আগেই। আর এক শিল্পীর মুখে আরেক শিল্পীর সমালোচনা, তা-ও মানা যায়। কিন্ত পরের কারও এতো বড় সাহস হওয়া উচিত না। এটা একজন শিল্পীকেই প্রতিহত করতে হবে কারণ সেই একই ব্যক্তি আরেক মাইক্রোতে আবার তাকেই নিমিষে ‘আইটেম’ বানিয়ে ফেলে। এই ছোটলোকি মুর্খতার নোংরা খড়ে আমরা আর আগুন না-ই দেই। আমিসহ সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যাদের গা জ্বলে গেলো তাদের উদ্দেশ্যেই বলা…
* ২৬ জুলাই ২০১৬
রাকায়েত ভাই অটল ছিলেন
নোমান রবিন, নির্মাতা
সমিতি বা গোত্র একটি সংঘবদ্ধ শুভশক্তি। ‘ওনার’ দাবি একটাই ‘গোত্রের সদস্যরা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমের লোকজন টিভি নাটক নির্মাণ করতে পারবে না। এই দেশে টিভি চ্যানেলের বাপ-মা থাকলেও, টিভি নাটকের কোনো বাপ-মা নেই, ইহা এতিম। তাই অনেকেই এই বৃহৎ অডিও-ভিজ্যুয়াল মার্কেটকে অপব্যবহার করছে, ঘটছে নাটক নির্মাণ থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত মারাত্মক ছন্দপতন। এই মাধ্যমের মূল চালিকা শক্তি- মেধাবীরা/অভিজ্ঞরা বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে রাখছেন। যদিও প্রচুর নতুন নতুন নির্মাতাদের ‘প্রবেশ’ ঘটছে, কেউ কেউ আবার আশীর্বাদ নিয়ে বা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘দোকান’ চালিয়ে যাচ্ছেন। মেধার ‘অভাব’ দিন দিন প্রকট হচ্ছে। ফলে বিংশ শতাব্দীর দর্শকের ‘আকাশ সংস্কৃতির অভিজ্ঞতার কাছে’ মেধাশুন্য অডিও ভিজ্যুয়াল নির্মাণ মার খাচ্ছে।
গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে সম্মানিত গাজী রাকায়েত ভাই একটি মাত্র দাবি নিয়ে তাল গাছের নিচে ‘ঠায়’ দাঁড়িয়ে আছেন, ‘ডিরেক্টরস গিল্ডের কনসার্ন ছাড়া টিভি স্টেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নাটক প্রচার করবে না’! কিন্তু তার যথাযথ দাবি অধিকাংশ টিভি স্টেশন সমর্থন করেনি। বিভিন্ন সময় নানা রকম ‘অফার’ রাকায়েত ভাইয়ের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু রাকায়েত ভাই অটল ছিলেন। গোত্রের প্রতি তার এই মায়ার কথা অনেকেই জানেন, তাই নির্বাচনে ভোট এদিক-ওদিক পড়লেও, অধিকাংশরাই সভাপতির ভোটটি ‘তাল গাছের নিচেই’ দিয়েছে। আসুন সবাই মিলে ডিরেক্টরস গিল্ডের এই দাবির পক্ষে ‘কণ্ঠ ভারি’ করি। ‘দশে মিলে’ করি কাজ ‘হারি-জিতি’ নাহি লাজ। ইনশাআল্লাহ জয় আমাদের সুনিশ্চিত। সবার মঙ্গল হোক।
* ২৬ জুলাই, ২০১৬
প্রেম-পিরিতি ছাড়া অন্য সম্পর্কও হয়
পরীমনি, চিত্রনায়িকা
দোস্ত আমরা দু’জন, হবো না দুশমন। ছিঁড়বে না এ বাঁধন, রবে চিরজীবন। পবিত্র বন্ধন বন্ধুত্ব। পবিত্র নাম বন্ধু। আছে মায়া আছে টান। নেই এর আদি অন্ত। আছে অফুরন্ত ভালোবাসা। নেই কোনো মোহের অস্তিত্ব। এই ভালোবাসায় নেই কোনো খাদ। শত বদনামেও হবে না অবসাদ। অন্তহীন এ জীবনের মাঝে বন্ধুত্ব সে তো সত্য।
হ্যালো ফেসবুক দুনিয়া, এই দেখো, এটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ছেলেমেয়ে হাত ধরলে, একসঙ্গে চললে প্রেম-পিরিতি ছাড়া অন্য সম্পর্কও হয়। আব্দুল আজিজ মানুষটার সঙ্গে আমার পেশাগত সম্পর্ক ছাড়া আরেকটা সম্পর্ক আছে, সেটা হলো খুব পবিত্র, খুব নির্ভয়, খুব বেশি সত্য, সেটা হলো বন্ধুত্ব। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘রক্ত’ ছবির পর আর কোনো কাজ হোক আর না হোক আমাদের এই বন্ধুত্ব সম্পর্কটা আমৃত্যু থাকবে, ইনশাল্লাহ। কারণ দুনিয়ায় এই একটা সম্পর্ক আছে যার কোনো ব্রেকআপ বলে কিছু নেই। তোমরা দোয়া করো, এই বন্ধুত্ব যেন অমর হয়ে রয়। লেটস সেলিব্রেট। আই লাভ ইউ সো মাচ, বন্ধু।
* ২৪ জুলাই ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
এসও/জেএইচ