ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শহুরে মানুষকে গ্রামে ফিরতে উদ্বুদ্ধ করবে ‘উৎসব’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৬
শহুরে মানুষকে গ্রামে ফিরতে উদ্বুদ্ধ করবে ‘উৎসব’ ‘উৎসব’ নাটকে আজাদ আবুল কালাম ও নাজনীন হাসান চুমকী

গ্রামের নাম উৎসব। একপাশে বকপট্টির জঙ্গল।

অন্যপাশে বিল। বিলের ওপারে ঘাসপাড়া। প্রত্যন্ত এই গ্রামের বিত্তবান মানুষ গাজী আলতাফ। বিস্তর জমিজমা তার। গঞ্জে মাছ আর সবজির আড়ত। গাজী সাহেবের চার ছেলেমেয়ে। তারা কেউ গ্রামে থাকে না। শহুরে জীবনে অভ্যস্ত। ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে গ্রামে আধুনিক দোতলা বাড়ি করেছেন আলতাফ সাহেব। কিন্তু লাভ হয়নি। গ্রামের প্রতি ছেলেমেয়েদের টান নেই। অথচ এ গ্রামেই তাদের শৈশব-কৈশোর কেটেছে।  

আলতাফ সাহেব ঠিক করেছেন তার সমস্ত বিষয়-সম্পত্তি দান করে যাবেন। খবরটা কানে যেতেই তার সিদ্ধান্তকে পাল্টানোর চেষ্টায় নামে ছেলেমেয়েরা। আলতাফ সাহেবের একটাই শর্ত- ছেলেমেয়েদেরকে গ্রামে এসে থাকতে হবে। একদল শহুরে মানুষ গ্রামীণ জীবন শুরু করতে প্রস্তুত হয়। তাদের রুচি, ফ্যাশন, চিন্তা, অভ্যাস; সবকিছু গ্রামীণ পটভূমিতে তৈরি করে নানারকম হাস্যরস। গ্রামের মানুষ সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসেবে তাদের যেমন সমীহ করে, তাদের কান্ড-কারখানায় হাসতে হাসতে লুটোপুটিও খায়।  

এটি ধারাবাহিক নাটক ‘উৎসব’-এর গল্প। লিখেছেন মাসুম শাহরিয়ার, পরিচালনায় গোলাম মুক্তাদির। এতে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, আজাদ আবুল কালাম, নাজনীন হাসান চুমকী, জেনি, নাদিয়া আহমেদ, আজমেরী আশা, রাজিব সালেহীন, সেলিম আহমেদ, হাসনাত রিপন, রওনক রিপন, শেখ মাহবুবুর রহমান, হিমে হাফিজ, সুজিত ঠাকুর প্রমুখ।

জানা গেছে, নাম ‘উৎসব’ হওয়ায় সমসাময়িক ঘটনা উৎসব বা পার্বনগুলো গল্পের ধারাবাহিকতায় সমন্বিত করা হবে। সম্প্রতি মানিকগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় এর চিত্রায়ন হয়েছে। দেশ টিভিতে শিগগিরই সপ্তাহে পাঁচদিন প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক ‘উৎসব’।  

নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ার বললেন, ‘ঢাকা শহরে প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে। নগরায়ন হচ্ছে পুরো দেশজুড়ে। আমাদের রোদ জোছনার মায়ায় ঘেরা গ্রামগুলো নিঃস্ব হচ্ছে ক্রমাগত শিক্ষায় সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যে। এখনও গ্রামমানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো বিপন্ন। নাগরিক অভ্যস্ততার দোহাই দিয়ে আমরা গ্রামে যেতে চাই না। ’

যোগ করে নাট্যকার আরও বলেন, ‘শহরে আমরা যতেই উৎসবের ঢাকঢোল বাজাই, একটা জাতির প্রকৃত ঐতিহ্য সংস্কৃতি তো বহন করে গ্রাম। কাজেই আমাদের মেধাবী শিক্ষিত সংস্বৃতিবান মানুষগুলো যদি গ্রাম থেকে দূরে থাকেন তাহলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতেই বলা হবে ক্ষয়িষ্ণু সংস্কৃতি। বাঙালিত্ব হবে শুধু ফ্রেমবন্দি উৎসবের শিরোনাম। কাজেই আমাদের এবার ফিরতে হবে। প্রকৃতির পাঠশালা থেকেই উঠে আসবে বাংলার মেধাবী রুচিবান প্রজন্ম। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।