ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পরের কিছু মুহূর্ত অবলম্বনে নির্মিত ‘থার্টি ফার্স্ট অক্টোবর’ অবশেষে সবুজ সংকেত পেলো। চার মাস অপেক্ষার পর ভারতের সেন্সর বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) সংশোধন কমিটি ছবিটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে।
এ খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন প্রযোজক হ্যারি সাচদেবা। তিনি স্বীকার করেছেন, নয়টি দৃশ্য কাটতে হয়েছে তাকে। তবে ছবিতে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে দাবি প্রযোজকের। তিনি বলেছেন, ‘সময় লাগলেও সেন্সর বোর্ডকে অবশেষে আমরা দৃশ্যগুলো রাখার বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। যেগুলো গল্পের বাস্তবিকতা নিয়ে এসেছে এবং যা তুলে ধরা জরুরি। এ বিষয়টি পর্দায় আনার কারণ আছে এবং এর প্রতি সুবিচার করা দরকার। ’
পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্রযোজক জানান, সহিংসতা ও রক্তপাতের দৃশ্যগুলো সম্পাদনা করতে হয়েছে। এ ছাড়া কাটতে হয়েছে নয়টি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য। সেন্সর বোর্ডের দাবি, এগুলো ও এসবের সংলাপ উস্কানিমূলক হতে পারে। বোর্ডের সংশোধন কমিটি ১৬ মিনিটের দৃশ্যগুলো ছাঁটাই করে একাধিকবার ছবিটিকে পুনরায় জমা দিতে বলেছিলো।
১৯৮৪ সালের দিল্লির প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে ছবিটি। তখন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তার দুই শিখ দেহরক্ষী হত্যার পর শহরটিতে বিশাল পরিবর্তন আসে।
ছবিটিতে আতঙ্কগ্রস্ত শিখ নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান। অভিনয়ের প্রয়োজনে তাকে পাঞ্জাবি ভাষা শিখতে হয়েছে। তার স্বামীর চরিত্রে আছেন বীর দাস। গল্পে এই দম্পতির যমজ সন্তান ও এক বছরের কন্যা আছে। লুধিয়ানার একটি গ্রামকে দিল্লি সাজিয়ে ছবিটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। শিবাজি লোটন পাতিল পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পাবে এ বছরের শেষ প্রান্তে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৬
জেএইচ