‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ নামের একটি ছবিতে কাজ করা নিয়ে নানান বিতর্কে জড়িয়েছে অভিনেত্রী সিমলার নাম। বিভিন্ন সময়ে সিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো এর পরিচালক রুবেল আনুশকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি।
কয়েকদিন আগে সকাল থেকে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবির শেষ ধাপের চিত্রায়ন হওয়ার কথা ছিলো। মাত্র একদিনের এই কাজের জন্য গত ৮ আগস্ট সময় বরাদ্দ দেন সিমলা। সকাল ৮টায় কলটাইম অনুযায়ী রাজধানীর পুরান ঢাকায় পরিচালক ইউনিট নিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু বিকেল পর্যন্তও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রীর দেখা পাননি।
পরিচালকের অভিযোগ, সকালেই ইউনিট থেকে সিমলার বাসায় গাড়ি পাঠানো হয়। সেই গাড়িতে চড়ে তিনি ঠিকই বাসা থেকে বের হন। কিন্তু ফোন বন্ধ রেখে ইউনিটের গাড়ি ব্যবহার করে সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ব্যক্তিগত কাজ সেরেছেন তিনি।
শেষে বিকেল ৫টায় পুরান ঢাকায় সেটে পৌঁছান সিমলা। ততোক্ষণে দিনের আলো ম্রিয়মাণ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে পরিচালককে সেদিনের মতো শুটিং প্যাকআপ করতে হয়েছেন। এতে প্রযোজকের ক্ষতি হয় ৭০ হাজার টাকা।
বিষয়টি নিয়ে সিমলার সঙ্গে আলোচনায় বসেন পরিচালক। তখন তিনি ১১ আগস্ট শুটিং করবেন বলে জানান। নিরুপায় হয়ে পরিচালক সেটা মেনেও নেন। সিমলার দেওয়া সময়ানুযায়ী এদিন সকাল থেকেই ইউনিট নিয়ে একই স্পটে ছিলেন পরিচালক।
পরিচালক রুবেল আনুশের অভিযোগ, ফোনে ‘আসছি আসছি’ বলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেটে আসেননি সিমলা। এরপর আর ফোন তোলেননি তিনি। শেষবার ফোন ধরে বিরক্ত করার জন্য পরিচালককে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশি কথা বললে টেনে জিহ্বা ছিঁড়ে ফেললো। ’ এরপর সিমলা ফোন বন্ধ করে দেন।
অন্যদিকে সকাল থেকেই সিমলাকে তার বাসা থেকে নিয়ে আসার উদ্দেশে যে গাড়িটি তার বাসায় পাঠানো হয়েছিলো, সেটিরও কোনো খোঁজ নেই। শেষবার পরিচালক ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সিমলাকে নিয়ে বের হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, সিমলা আজও তাকে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজ সেরে নিতে এখানে-ওখানে গেছেন।
ছবিটিতে অভিনয় করছেন প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা শিমুল খান। নায়িকার অপেক্ষায় তাকেও সেটে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই আপত্তিকর ও দুঃখজনক ঘটনা। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে তাকে দিয়ে আর যাই হোক, শিল্পচর্চা হয় না। প্রযোজক, পরিচালকের ক্ষতি করাটা কখনও কাম্য নয়। একজন শিল্পী হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। ’
এ প্রসঙ্গে পরিচালক রুবেল আনুশ বাংলানিউজকে জানান, মাত্র একটি গান ও কয়েকটি দৃশ্যের শুটিং করলেই ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’র কাজ শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু সিমলার এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে ৮ আগস্টের মতো আজও প্রযোজকের প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিমলার মন্তব্য নেওয়ার জন্য তার গ্রামীণফোনের নম্বরে যোগাযোগ করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৬
এসও/জেএইচ