ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মিশু সাব্বির ও ইরফান সাজ্জাদের কপালে নজর টিকা (ভিডিও)

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
মিশু সাব্বির ও ইরফান সাজ্জাদের কপালে নজর টিকা (ভিডিও) ছবি: নূর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার সাগুফতা সড়ক থেকে নিচে নেমে গেলে নির্মাণকাজ চোখে পড়ে। একপাশে ফাঁকা মাঠ।

আরেক পাশে ডোবা। এখানটায় বাঁশের মাচায় বসে আছেন ছোট পর্দার অভিনেতা মিশু সাব্বির। কলেজ শিক্ষার্থীর পোশাকে তার কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো।

ব্যাগ থেকে একটি কাগজ বের করে চোখ বন্ধ করে মিশু বলছেন, ‘আল্লাহ, এইবার আমি যেন পরীক্ষায় পাশ করি। তাহলে আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো। ’ এই বলে কাগজের দিকে তাকাতেই হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন তিনি। কাগজটা পরীক্ষার রেজাল্ট তা বুঝতে বাকি নেই। এ-ও বোঝা যাচ্ছে, পরীক্ষায় ফেল করেছেন বলেই বাবার ভয়ে কাঁদছেন তিনি।

দৃশ্যটি ‘হার নাকি জিত’ নাটকের। গত ১৫ আগস্ট সকালে উন্মুক্ত জায়গায় কাজের পর ইউনিট গেলো মিরপুর ডিওএইচএস দুই নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে। সেখানে ইরফান সাজ্জাদকেও একই পোশাকে ও কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া গেলো।

মজার বিষয় হলো, দু’জনের কপালেই দেখা গেলো নজর টিকা! এর শানে নূযূল কী? দামড়া দুই ছেলের কপালে কাজল দিয়ে পাউডার মেখে দেওয়ার কারণ বাংলানিউজকে জানালেন পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্নাহ।

গল্পে মিশুর চরিত্রের নাম রামীম আর ইরফান আছেন মুঈদের ভূমিকায়। সম্পর্কে তারা চাচাত ভাই হলেও বাবা-চাচার রেষারেষির জের ধরে তারাও একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। উভয়ের মধ্যে শিশুসুলভ আচরণ আছে বলে প্রতীকীভাবে নজর টিকা ব্যবহার করা হয়েছে। তারা পড়ে একই কলেজে।   ইরফান ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র ও নম্রভদ্র। অন্যদিকে মিশু বাউন্ডুলেপনা করে বেড়ায়। এ কারণে পরীক্ষায়ও ফেল করে।

ডিওএইচএসের বাড়িটির ছাদের এক কোণে জড়োসড় হয়ে বসে আছেন মিশু। বাবা এগিয়ে আসতেই আবার কান্না জুড়ে দিলেন তিনি। সব বিষয়ে কতো নম্বর পেয়েছেন তা শোনার পরই বাবা লাঠি নিয়ে বেধর মার শুরু করেন।

লেখাপড়ায় এগিয়ে থাকা মুঈদ ছাত্রজীবন শেষে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। আর রামীম হয়ে যায় চালের আড়তদার। কিন্তু চাচাত ভাইয়ের কাছে হারতে রাজি না সে। তাই মুঈদের ভবিষ্যৎ স্ত্রীর চেয়েও সুন্দরী একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চায় সে। এজন্য শুরু হয় পাত্রী খোঁজা। একসময় ঈশানার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তার। কিন্তু মুঈদের সঙ্গেও মেয়েটির সম্পর্ক আছে।

জীবনে জয়-পরাজয় থাকেই। দুটোই মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হয়। তা না হলে অসম প্রতিযোগিতার নামে অনেক অপ্রতীকির ঘটনা ঘটে। আসলে পরিশ্রম করলে সাফল্য আসে, এই বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এতে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্মিত হাস্যরসধর্মী নাটকটি লিখেছেন রাজিউল হোদা দীপ্ত। এতে আরও অভিনয় করেছেন কাজী উজ্জ্বল, রাইয়া প্রমুখ।

* ‘হার নাকি জিত’ না্টকের দৃশ্যধারণের ভিডিও :

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।