‘আমি সিএনজি-রিক্সায় চড়ি না। বাসে ভি উঠি না।
হোন্ডা বাহার চরিত্রটি প্রসঙ্গে নিলয় বাংলানিউজকে বললেন, ‘এটি একটি প্রতিবাদী চরিত্র। কখনও অন্যায়, অত্যাচার, প্রতারণা সহ্য করতে পারে না সে। বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আমার একটি দল আছে হোন্ডার। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে সব জায়গায় যাই। দলটিকে দেখলে মহল্লার সবাই এমনকি পুরো শহরের মানুষ ভয় পায়! পুরো নাটক জুড়ে আমাকে পুরান ঢাকার ভাষায় কথা বলতে হচ্ছে। ’
শুটিংয়ের একটি মজার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নিলয় বললেন, ‘একটি দৃশ্যে দেখা যাবে, আমি হোটেলে যাচ্ছি। কারণ সেখানে খাবারের সঙ্গে ফরমালিন মেশানো হয়। যাওয়ার পথে সবাই আমাকে দেখে তাদের দোকানের শাটার বন্ধ করে সালাম দিতে থাকে। এর চিত্রায়ন হয় রেললাইনের পাশে। সেখানকার সবাই ভাবছিলো আমি বোধহয় সত্যিই রংবাজ! এই অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ্য ছিলো। ’
নাটকটিতে নিলয়ের স্ত্রী আনিকা কবির শখও অভিনয় করছেন। যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন তিনি। টমবয় সেজে দুষ্টু ছেলেদের নাকানি-চুবানি খাওয়ান। তারাও ভয় পায় শখকে। তাকেও পুরান ঢাকার ভাষায় কথা বলতে দেখা যাবে। মহল্লায় মেয়েদের উক্ত্যক্ত করলেই তাদের ধরে শাস্তি দেন তিনি।
তাবিজ বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন এটিএম শামসুজ্জামান। তার তাবিজ নিলে সবাই রোগমুক্তি পায়। এজন্য তাকে গুরু মানা হয়। মোশাররফ করিম থাকছেন বুদ্ধিদাতা চরিত্রে। সবাইকে তিনি ভালো বুদ্ধি দেন এবং সাহায্য করেন বিপদে। এজন্য তিনিও অন্যদের চোখে একজন গুরু।
পরিচালক কায়সার আহমেদ বাংলানিউজকে বললেন, ‘এ নাটকের সব চরিত্রই প্রতিবাদী। সবাই নিজেকে গুরু ভাবে। তাই এর নাম ‘মহাগুরু’। এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ের সামাজিক প্রতিবন্ধকতায় বিভিন্ন অপরাধ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা দেওয়া হবে।
সম্প্রতি পুরান ঢাকা, দিয়াবাড়ি ও উত্তরার শুটিং হাউজে নাটকটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। এতে আরও অভিনয় করছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, আখম হাসান, বাঁধন, নিশা, অহনা প্রমুখ। ‘মহাগুরু’ লিখেছেন রেদওয়ান খান। শিগগিরই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ