বনানীর পাশে কড়াইল বস্তিতে ঢুকে আশেপাশে বেশকিছু দোকান চোখে পড়লো। বিভিন্ন রকমের দোকান।
পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ। ২০ আগস্ট (শনিবার) দুপুরে কড়াইল বস্তিতে ঈদের নাটকের কাজ করছিলেন তিনি। নামটা মজার- ‘দিলীপ কুমার ও বৈজয়ন্তীমালা’।
বলিউডে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে সাড়াজাগানো জুটি ছিলেন দিলীপ কুমার ও বৈজয়ন্তীমালা। ‘দেবদাস’ (১৯৫৫), ‘নয়া দৌড়’ (১৯৫৭), ‘মধুমতি’ (১৯৫৮), ‘পয়গাম’ (১৯৫৯), ‘গঙ্গা যমুনা’ (১৯৬১) ছবিগুলোতে তাদের রসায়ন দর্শক আজও ভোলেনি।
এ নাটকে দিলীপ কুমার ও বৈজয়ন্তীমালা জুটি এলেন কীভাবে? পরিচালক জানালেন, এতে দিলীপ নামের এক তরুণের চরিত্রে আছেন রওনক হাসান, মালার ভূমিকায় অভিনয় করছেন সাদিয়া জাহান প্রভা। তাই লেখক মাসুম শাহরিয়ার এই নাম দিয়েছেন।
ক্যামেরার দিকে চোখ রাখতেই দেখা গেলো প্রভা একটি গাছের গুড়িতে বসে আছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে রুনা খান। তিনি অভিনয় করছেন হাসনা হেনা চরিত্রে। উভয়ের হাতেই স্ক্রিপ্ট। দু’জনে মিলে মহড়া করছেন।
প্রভার সামনে রুনা সংলাপ আওড়াচ্ছেন- ‘কি রে? ওই ছেরি? তোর নাগর কি তোরে ছাইড়া গ্যেছে গা?’ দৃশ্য অনুযায়ী প্রভা শুধু মাথা নাড়াবেন আর কাঁদবেন। কিন্তু রুনা খানের মুখে একটা সংলাপ শুনেই তিনি হেসে দিচ্ছেন। সংলাপটি ছিলো- ‘বাহ! তুই দেখতে তো ভালোই সুন্দর। গায়ে গতরেও তো দেহি ভালাই গোশত আছে। তা তোরে এই শহরের শিয়াল কুত্তায় তো ছিড়া খাইবো লো ছেরি!’ হাসি পাওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রভাকে গ্লিসারিনের শরণাপন্ন হতে হলো।
এদেকে পরিচালককে বস্তির উৎসুক জনতাকে সামলে কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নাটকটি আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাভিশনে প্রচার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
টিএস/জেএইচ