উত্তরার একটি হাসপাতালে শুয়ে আছেন ছোট পর্দার এ সময়ের অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। তার শরীর ও মুখ ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়ানো।
শিহাব শাহীন পরিচালিত একটি নাটকের প্রয়োজনে তৌসিফের এই দশা! এর প্রাথমিক নাম রাখা হয়েছে ‘প্রেম ভালোবাসার ইচ্ছেগুলো’। এতে তৌসিফের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ বিজয়ী নাদিয়া আফরিন মিম। ওসমান সজিবের লেখা নাটকটি ঈদুল আজহায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।
হাসপাতালে চিত্রায়নের সময় অন্যরকম মজার ঘটনা ঘটেছে। ব্যান্ডেজ মোড়ানো অবস্থায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে হয়েছে তৌসিফকে। গরমে প্রাণ প্রায় যায় যায় অবস্থা! ওই কেবিনে আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই। বিরতিহীন ক্যামেরা চলছে। তাকে বলা হলো চুপ করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে। কিন্তু চোখ বন্ধ করে থাকতে গিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন!
এমন সময় একটি দৃশ্যের জন্য তৌসিফকে হাতটা ধীরে উঠিয়ে নাদিয়ার হাত ধরতে বলা হলো। কিন্তু তিনি তো ঘুমিয়ে! কীভাবে হাত ধরবেন? দুই-তিন বার বলার পরও তিনি হাত না ধরায় তাকে ডেকে ওঠানো হলো। ইউনিটের সবার তো আর হাসি থামে না!
দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটি নির্ভর প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটকটি। এতে তৌসিফ ও নাদিয়া মিমের প্রথম দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে। প্রথম দেখাতেই মেয়েটি বলে ওঠে, ‘আপনি কি আমাকে খুঁজছেন?’ তখন থেকে শেষ অবধি তাদের খুনসুটি চলতে থাকে। এর মধ্যেই তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান।
আরেকটি ঘুমের দৃশ্য নিয়ে তৌসিফ মজার অভিজ্ঞতা জানালেন। নাদিয়া মিম হঠাৎ ছেলেটির বাড়িতে এসে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে ক্লোরোফাম শুকিয়ে অজ্ঞান করে জোকার সাজিয়ে চলে যান। তৌসিফ তো ঘুম থেকে উঠে মুখ না দেখেই বাইরে বেরিয়ে গেলেন। এরপর তিনি দেখেন, রাস্তায় সবাই তাকে দেখে হাসছে। এই দৃশ্যটির চিত্রায়নের সময় পথে পথে তিনি হেঁটেছেন আর সবাই উৎসুকভাবে দেখেছে। ‘বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে এ দৃশ্যটির কাজ করে’- বললেন সুদর্শন এই তরুণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ