ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

প্রয়াত ফরিদ আলীর জন্য গার্ড অব অনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
প্রয়াত ফরিদ আলীর জন্য গার্ড অব অনার

ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্যকার ও মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলীর মরদেহ। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার ঠাটারি বাজারের বিসিসি রোডে তার নিজ বাসা সংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সেখানেই ফরিদ আলীর মরদেহকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।

সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ঢাকার মিরপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গুণী অভিনেতা ফরিদ আলী। তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এই শিল্পী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৯ আগস্ট তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিরবিদায় নিলেন তিনি। ফরিদ আলী স্ত্রী, চার ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সন্তানদের মধ্যে দুই ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী। তাদের মধ্যে একজন বাবার মৃত্যুর দিন সকালে ফিরেছেন।
 
সোমবার রাতে ফরিদ আলীর ছেলে ইমরান আলী বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে তার বাবার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। বাদ জোহর সেখানে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এরপর দুপুর দেড়টায় এফডিসিতে তৃতীয় ও শেষ জানাজার পর ফরিদ আলীর লাশ সমাহিত করা হবে বনানী কবরস্থানে।
 
বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম হাসির নাটক ‘ত্রি-রত্ন’র অভিনয়শিল্পী ও তৃতীয় নাটকের নাট্যকার ছিলেন ফরিদ আলী। শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’র মাধ্যমে ১৯৬২ সালে মঞ্চ অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর অসংখ্য মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে টিভিতে প্রথম দেখা যায় তাকে। ফরিদ আলীর লেখা প্রথম টিভি নাটক হলো ‘নবজন্ম’।
 
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন ফরিদ আলী। ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ ছবির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। ‘সংগ্রাম’, ‘গুন্ডা’, ‘রংবাজ’, ‘ঘুড্ডি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সমাধান’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘শ্লোগান’, ‘চান্দা’, ‘দাগ’, ‘অধিকার’সহ বিভিন্ন ছবিতে তার হাস্যরসাত্মক অভিনয় সবশ্রেণীর দর্শক উপভোগ করেছে। তার মুখে ‘টাকা দেন দুবাই যাবো, বাংলাদেশে থাকবো না’ সংলাপটি তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিলো।
 
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফরিদ আলীর চিকিৎসার ভার নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ১৯৭১ সালে দেশের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মেজর ওসমান গণির নেতৃত্বে দুই নম্বর সেক্টরে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেন ফরিদ আলী।

* অভিনেতা ফরিদ আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
* ফরিদ আলী আর নেই

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্ট‍া, আগস্ট ২৩, ২০১৬
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।