ঢাকা: মিতু কর্মকারের ‘ভেবেছিলাম’ আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে। কেবল গানের কথা নয়, ভাবনার জগতে এসে ভর করবে সুরের মুর্ছনা, কণ্ঠের মাধুর্য আর নিদারুণ এক নিবেদনের অভিব্যক্তির কথাও।
‘ভেবেছিলাম’ মিতু কর্মকারের নতুন অ্যালবাম। বলা চলে প্রথম একক অ্যালবাম।
ভেবেছিলাম সোজা পথে হাঁটবো এই দিয়ে শুরু। এই প্রতিপাদ্যেই পুরো অ্যালবামে স্থান পেয়েছে ‘তুমি আসবে বলে’, ‘আমি আকাশ দেখবো বলে’, ‘আর কত দূর’, ‘বসে আছি’, ‘ও কেনো জানলার ধারে’, ‘মেঘ’ ও ‘সকাল গড়িয়ে’ শিরোনামে আরও সাতটি গান।
প্রতিটি গানেরই কথায় যেমন রয়েছে মর্মবাণি, তেমনি যাদুকরী সুরে তা হয়েছে মোহনীয়।
কোনও একটি সাক্ষাৎকারে মিতু কর্মকার বলেছেন, লিখতে শেখার আগেই গাইতে শেখেন তিনি। তার জন্য মায়ের কৃতিত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন। আর এখন যে তার গলার সুর, সে সুরে যে সাধনার প্রকাশ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে যে পারঙ্গমতা আর সর্বোপরি গানকে বুঝে নিয়ে গাওয়ার যে যোগ্যতা তার পেছনে রয়েছে পণ্ডিত সঞ্জীব দে’র তালিম।
গান বুঝে গান করার সরল ও সুস্পষ্ট প্রকাশ পাওয়া যায় মিতু কর্মকারের ‘ভেবেছিলাম’ অ্যালবামে।
গানের দেশে মিতুর বিচরণ আজন্মকালের হলেও প্রথম অ্যালবামটি তার বের হয় ২০১৫ সালের ভালোবাসা দিবসে। নাম ছিলো ‘খুঁজি তোমায়’। সেটি ছিলো মিক্সড অ্যালবাম। যাতে মোটে দুটি গান ছিলো মিতুর।
কিন্তু মিতু ভক্তদের যে আরও চাই। সে কারণেই গত ঈদে (ঈদ-উল-ফিতর) তিনি বের করেন এই ‘ভেবেছিলাম’। জি-সিরিজের এই অ্যালবামে মিতু একাই গেয়েছেন।
স্যামুয়েল হক, ফয়সল আহমেদ, রেজাউল করিম শিল্পির লেখা গানগুলো প্রাণ পেয়েছে তার কণ্ঠে।
‘ভেবেছিলাম’র গানগুলো শুনলে মিতুর কণ্ঠে সুরের বহুমুখীতা বুঝতে পারবেন শ্রোতারা। আর তাকে একজন মেধাবী শিল্পী হিসেবে মেনে নিতেই হবে। যার জন্য এক অপার সম্ভাবনার ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। মিতু কর্মকারের ও তার ‘ভেবেছিলাম’র জন্য বাংলানিউজের শুভকামনা।
বাংলাদেশ সময় ১২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৬