চলচ্চিত্রের গানে ভিনদেশি তথা ভারতীয় কণ্ঠশিল্পীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গা সওয়া হয়ে গেছে। যৌথ প্রযোজনার ছবির দোহাই, মানসম্পন্ন কণ্ঠ, বৈচিত্র্য রক্ষা কিংবা এমনি এমনিই ভারতীয় শিল্পীদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
গত দুই ঈদে অন্তত এক ডজনের বেশি ভারতীয় শিল্পীর গান প্রকাশ করেছে অডিও কোম্পানিগুলো। শিল্পী তালিকায় আছেন নচিকেতা, শুভমিতা, শ্রীকান্ত আচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচী, শিলাজিৎ, রূপম ইসলাম, পাপন, পলক মুচ্ছাল প্রমুখ। গানগুলো রাখা হয়েছে বিভিন্ন মিশ্র ও দ্বৈত অ্যালবামে। সিঙ্গেল ট্র্যাক হিসেবেও বের হয়েছে কিছু।
গত ঈদুল ফিতরে গানচিল থেকে বের হয় রূপঙ্কর বাগচীর সিঙ্গেল ‘সকালের রোদ্দুর’, শুভমিতা ও পাপন গেয়েছেন ঈগল মিউজিক থেকে প্রকাশিত অদিত ফিচারিং ‘মন দরিয়া’য়, জি সিরিজ থেকে আসা জিয়া খানের সুরে ‘ছায়া শরীরী’ অ্যালবামে আছে রুপঙ্কর ইসলাম ও রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের গান।
ঈদুল আজহার আজহার চিত্রটিও একই রকম। সাউন্ডটেক থেকে বের হয়েছে ইমরানের সুরে পলক মুচ্ছালের সঙ্গে তার দ্বৈত অ্যালবাম ‘আমার ইচ্ছে কোথায়’, সিএমভি থেকে এসেছে জয় শাহরিয়ারের সুরে শিলাজিতের সিঙ্গেল ‘অসহায়’, রুপঙ্কর বাগচীর সিঙ্গেল ‘আঁধারের বৃষ্টিতে’, ঈগল মিউজিক বের করেছে ইমন চক্রবর্তীর (সহশিল্পী স্বপ্নীল সজীব) কণ্ঠে ‘তুমি কোন কাননের ফুল’, গানচিল এনেছে পৌলমি গাঙ্গুলির রবীন্দ্রসংগীত, মুম্বাইয়ের রিংগো বসুর গান প্রভৃতি।
মিশ্র অ্যালবাম, ইপি বা সিঙ্গেলসে ভারতীয় শিল্পীদের গান প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে সংগীতাঙ্গনে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকের মতে, প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের দিয়ে গান করালেই সাফল্য আসবে এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। বিদেশি শিল্পী নয়, মানসম্পন্ন কথা ও সুরের সম্মিলনে দেশি শিল্পীদের প্রাধান্য দিয়ে গান তৈরি করা উচিত বলেই মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬
এসও