আগামী ২০ জানুয়ারি ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘সুরগাঁও’-এর উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। এটি দেশনাটকের ২২তম প্রযোজনা।
এতো বছর পর নির্দেশনা দেওয়া প্রসঙ্গে মাসুম রেজা মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাংলানিউজকে বললেন, “আমি আসলে নির্দেশনা দিতে চাই না। এই নাটকের নির্দেশক ছিলেন অন্যজন। তিনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে। তাই পোস্টারে লিখেছি ‘একটি নাট্যকার নির্দেশিত নাটক’। ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের বেলায়ও একই কথা লিখেছিলাম। ”
‘সুরগাঁও’কে মাসুম রেজা বলছেন নিকট ও দূরগাঁও। সুরগাঁও আমাদের দেখা-অদেখার এক গ্রাম, খুব পরিচিত আবার অপরিচিতও। এ গাঁয়ে আনাল ফকির, আসমান, সুহি, হাক্কা ব্যাপারী, বাঁশিবুড়ি, ওষ্ঠকালা, নিহাররঞ্জন, কাবিল, কুসি ও মুজাহেবদের বাস। সুরগাঁওয়ের পত্তনকারী আনাল ফকির ১৮০ বছর আগে এক রাতে গ্রাম থেকে উধাও হন।
উধাও হয়ে যাওয়ার আগে কোনো একদিন বাঁশিবুড়ির হাতে দিয়ে যান এক মোহন বাঁশি। বলে যান, বাঁশির সুর দিয়ে মানুষের ভেতরের অসুরটাকে দূর করতে। সেই থেকে বাঁশিবুড়ি থানা থেকে আসামিদের চেয়ে নিয়ে এসে বাঁশি শেখায়। আসমান তার চার পুরুষ পরের বংশধর এবং ভবিষৎদ্রষ্টা। সে দেখে তার দাদা আনাল ফকির ১৮০ বছর পর সুরগাঁওয়ে ফিরছেন।
আসমানের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য করে আনাল ফকির সুরগাঁওয়ে ফিরে আসেন। এরপরই নতুন এক সংকটের মুখোমুখি হয় সুরগাঁও। সময়ের বিপরীতে ১৮০ বছর আনাল ফকির প্রত্নকাল ভ্রমণ করেন। তার ইচ্ছায় তিনি ভ্রমণ করেন ব্যাবিলন, স্যার টমাস মুরের সময়কালের ইংল্যান্ড, কুরুরাজ্য, দামেস্ক, সক্রেটিসের সময়কালের গ্রিসসহ অনেক জায়গা।
এসব স্থান ভ্রমণকালে ব্যাবিলনের রানি, স্যার টমাস মুর, পাণ্ডবভার্যা দ্রৌপদী, সক্রেটিসের বন্ধু ক্রিটো এবং দামেস্কের আমীরঅমূল্য কিছু উপহার দেন আনাল ফকিরকে।
কালের বিপরীতে ভ্রমণ এবং কালের গর্ভ থেকে মূল্যবান সামগ্রী চুরির অভিযোগে তাম্রসেনার দল ঢুকে পড়ে সুরগাঁওয়ে। কালরক্ষী বলে নিজেদের পরিচয় দেওয়া সেনারা সময়কে শৃক্সখলায় ফিরিয়ে আনতে চায়! সুরগাঁওয়ে শুরু হয় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা; সুর আর অসুরের দ্বন্দ্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
জেএইচ