বানসালির পক্ষে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাজস্থানের প্রতি ভালোবাসার জন্যই জয়পুরে দুটি ছবির কাজ করেছেন সঞ্জয়লীলা বানসালি। তবে দুর্বৃত্তদের ভাঙচুর ও ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে অভদ্র আচরণের কারণে সৃষ্ট ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে কলাকুশলীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই শহর ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
বক্তব্যে আরও জানানো হয়, প্যারিসে মিলনায়তনভর্তি দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে ‘পদ্মাবতী’ অপেরা পরিচালনা করেছেন সঞ্জয়লীলা বানসালি। এজন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। সুন্দরী ও সাহসী রানী পদ্মাবতীর জীবন তাকে অনুপ্রাণিত করেছে, এজন্য তার গল্প নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখানে রানী পদ্মাবতী ও আলাউদ্দিন খিলজির মাঝে কোনো স্বপ্নের দৃশ্য কিংবা আপত্তিকর কোনো কিছু থাকছে না। আমরা ছবিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে সতর্কভাবে গবেষণা করেছি। শুটিংয়ে উগ্রবাদীরা অযথাই আক্রমণ করেছে। এই ঘটনায় জয়পুরের সৌন্দর্যে কালিমা লেগে গেলো। ’
জয়পুর কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে সাড়া দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়নি। এজন্য তাদের কাছে ‘পদ্মাবতী’র পুরো ইউনিট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। বিবৃতি যোগ করে বলা হয়, ‘আমরা কারও অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না। এ ছবি রানী পদ্মাবতীর প্রতি বিশ্বের শ্রদ্ধা বাড়াবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। স্থানীয়রা যদি আমাদের সহযোগিতা করতেন তা প্রশংসিত হতো। ’
রাজপুত সংগঠন কার্নি সেনার কর্মীরা গত ২৭ জানুয়ারি জয়গড় কেল্লায় ঢুকে বানসালিকে চড় দেয় ও তার শার্ট ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করে। ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালকের সমালোচনা ছাড়াও কলাকুশলীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তারা। তারা ক্যামেরাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ভাংচুরের মাধ্যমে বানসালিকে শুটিং থামাতে বাধ্য করে।
ছবিটির গল্প রাজপুতের রানী পদ্মাবতীর প্রতি দিল্লির শাসক আলাউদ্দিন খিলজির অন্ধপ্রেমকে ঘিরে। এ দুটি চরিত্রে আছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং। পদ্মাবতীর স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন শহিদ কাপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
জেএইচ