সোমবার (৮ মে) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়রি) করেছেন শাকিব। জিডি নম্বর ৩৬৫।
লিখিত অভিযোগে শাকিব বলেছেন, ‘আমি বিএফডিসিস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি পদে দায়িত্বরত আছি। ৫ মে বিএফডিসিস্থিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মে দিবাগত রাত অনুমান ১টা ৩০ মিনিটে বিভিন্ন মারফত আমার কাছে খবর আসে যে, নির্বাচনের ফলাফল এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। আপিল বিভাগের লোকজন শিল্পী সমিতির ভেতরে ভোট গণনা কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি হিসেবে বিষয়টি দেখা আমার এখতিয়ারভুক্ত বিধায় আমি বিএফডিসিতে আসি। এবং দেখি যে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে আপিল বিভাগের লোকজন ও বাইরে বহিরাগত লাল গেঞ্জি পরিহিত পিস্তল হাতে একজন সন্ত্রাসীসহ চাপাতি হাতে কয়েকজন লোকসহ আরও লোক অবস্থান করছে।
এই সকল বহিরাগত লোকজন বিএফডিসির ভেতরে এতো রাতে কিভাবে এলো এবং কেন অস্ত্র হাতে অবস্থান করছে জানতে চাইলে ওখানে উপস্থিত সাইফ খান কালু (নৃত্য পরিচালক), সায়মন সাদিক (নায়ক), জিয়া (অভিনেতা), ফাইটার শামীমসহ অজ্ঞাতনামা অনেক লোকজন আমার ওপর হামলা করতে আসে। আমাকে ছোরা দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। আমার একজন ভক্ত আমাকে রক্ষা করতে গেলে আক্রমণকারীর ছুরির আঘাতে তার হাত কেটে যায়। আমি নিজের প্রাণ রক্ষার্থে পুলিশ, আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, কিছু কলাকুশলীর সহযোগিতায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
অভিযোগে শাকিব আরো বলেন, তখন উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়া ধর ধর বলে ধাওয়া দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন মারফত হইতে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে, আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে এবং রাস্তা ঘাটে মেরে ফেলবে। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী অভিনেতা জায়েদ খানসহ আরও অনেকেই জড়িত বলে আমার বিশ্বাস।
শাকিব খানের এই লিখিত অভিযোগটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার কর্তব্যরত অফিসার সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং একজন এসআইকে বিষয়টি তদন্তের দায়ভার দেন।
এদিকে সোমবার (৮ মে) নিজের নিয়মিত শারীরিক চেকআপের জন্য শাকিব খান রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে যান। চিকিৎসক তাকে একদিন হাসপাতালে থাকতে বলেন। মঙ্গলবার (৯ মে) বাসায় ফিরছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
এসও