রাসেল আহমেদের সহকর্মী শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন বাংলানিউজকে জানান, বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নির্মাতাকে বাড্ডার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাসেলকে দ্রুত পাঠানো হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে।
‘নৃ’ নামে একটি জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র তৈরি করছিলেন রাসেল। প্রথম ছবি তৈরি করতে দীর্ঘসূত্রিতায় পড়েছিলেন স্বপ্নবাজ এই তরুণ। শেষ পর্যন্ত ছবিটির শুটিংয়ের কাজ শেষ করলেও এর মুক্তি দেখে যেতে পারেননি বরিশালের এই কৃতি সন্তান।
রাসেলের এই ছবির চিত্রগ্রাহক ঈয়ন। তিনি বললেন, ‘দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর দিনে মৃত্যু হলো রাসেল ভাইয়ের। চলচ্চিত্র ঘিরে আমরা বেশ টিমওয়ার্ক করছিলাম। বিশেষ করে ‘নৃ’ নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা ও স্বপ্ন ছিলো। হঠাৎ করে সব শেষ হয়ে গেলো। ’
রাসেল আহমেদ আগাগোড়া চলচ্চিত্রের মানুষ হলেও বেশ কিছু নাটকও তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে দেশটিভিতে প্রচারিত ‘ফ্লাইওভার’ দিয়েই নজর কেড়েছিলেন তিনি। এরপর ‘কনফেশন’সহ আরও কিছু নাটক বানালেও তার ধ্যান-জ্ঞান ছিলো চলচ্চিত্র।
নির্মাতা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে ২০১০ সালে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসেন রাসেল। স্ত্রী ইথেল আহমেদকে নিয়ে বাড্ডায় ছিলে তার নিবাস। বাবাকে আগেই হারিয়েছিলেন। মা থাকেন বরিশালে।
অকাল প্রয়াত নির্মাতা রাসেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়ি বরিশালে। সেখানেই মঙ্গলবার (১৬ মে) চিরসমাহিত করা হবে ‘নৃ’-এর কারিগরকে।
‘নৃ’ ছবির টিজার
বাংলানিউজে প্রকাশিত রাসেল আহমেদের সাক্ষাৎকার
ফান্ড আসে তবে তা কোথায় যায় জানি না: রাসেল আহমেদ
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এসও/এইচএ/