বুধবার (২৪ মে) বিকেলে এফডিসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নবনির্বাচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী কবরী ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
কবরী তার বক্তব্যে জানান, তার পছন্দের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। এবার সাংবাদিকদের সহযোগিতায় তারা শিল্পী ও চলচ্চিত্রের জন্য ভালো কাজ করবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি। সিনে সাংবাদিকদের তিনি সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পরামর্শ দেন।
দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কবরী কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘অনুদানের ছবিগুলো কারা পাচ্ছে? আর্ট ফিল্মের নামে কি তৈরি হচ্ছে?’ কবরী সেন্সরবোর্ড ও জুরিবোর্ডের সদস্যদেরও সমালোচনা করেন। অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কেবল আশ্বাস দেন, কিন্তু চলচ্চিত্রের জন্য কিছু করছেন বলেও মন্তব্য করেন কবরী।
এদিকে ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে পরামর্শ করে চলচ্চিত্রের স্বার্থে কাজ করা। তিনি দুঃখপ্রকাশ করে জানান, গত চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে তিনি অসম্মানিত বোধ করেছেন। কাঞ্চন বিগত কমিটির নেতৃত্বকে ঈঙ্গিত করে বলেন, ‘মাথা যদি ঠিক না থাকে, তাহলে শরীর ভালো থাকবে কি করে?’
জনপ্রিয় এই নায়ক বলেন, ‘যারা মামলা-মোকাদ্দমা করেছেন তারা সিনিয়র ভাইদের সাথে বসে আলোচনা করতে পারত। যদি কিছু হয়ে থাকে, হয়নি জানি। যদি সে মনে করে থাকেও আমাদের সাথে বসতে পারত। বসে ডিসিশন নিতে পারত। এটা সবচেয়ে দুঃখজনক। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা যারা সিনিয়র, ইন্ডাস্ট্রিকে এ জায়গায় নিয়ে আসছি তাদের মূল্যায়ন কোথায় থাকল? যা হওয়ার হয়ে গেছে। ইলেকশনে হারজিত থাকবে— সকলেরই মিলে কাজ করতে হবে। শিল্পীদের জন্য কিছু করা যায় এ চিন্তা করে আগানো উচিত। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতি মিশা সওদাগর। মিশা বলেন, ‘হেরে যাওয়া মানে পালিয়ে যাওয়া নয়। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবো। ’
অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সদস্য সাইমনও বক্তব্য রাখেন। শিল্পী সমিতির এই নেতারা মনে করেন, আইনি জটিলতা পেরিয়েছেন তারা। এবার শিল্পী সমিতি আপন গতিতে কাজ করবে। এর জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এসও