দেশে ব্যান্ডসংগীত সংস্কৃতি গড়ে দেওয়া এই মানুষটির ষষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী ফিরে এলো। ৫ জুন আজম খানের চলে যাওয়ার দিন।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন আজম খান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় অংশ নেন কয়েকটি গেরিলা অভিযানে। স্বাধীনতা অর্জনের পর গঠন করেন ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড, বাকিটা ইতিহাস।
এক ‘উচ্চারণ’-এর কারণে গানের দুনিয়ায় ভিড়লো শত শত তরুণ।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না’ গানটি প্রচারের পর তুমুল জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা পান পপগুরু আজম খান। এটি ১৯৭২ সালে বিটিভিতে প্রচার হয়। এরপর থেকেই তার গান ছড়িয়ে পড়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। গানের ভাষা সহজ, প্রাঞ্জল ও বাস্তবভিত্তিক হওয়ায় গানগুলো মানুষকে সহজেই স্পর্শ করতে শুরু করে। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তেমন গানগুলোই নিজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন।
১৯৭৪-৭৫ সালে ‘হায়রে আমার বাংলাদেশ’ গানটি তরুণ প্রজন্মের হৃদয় জয় করে নেয়। রেললাইনের পাশে বস্তিতে কোনো এক ছেলের মৃত্যুতে তার মায়ের কান্নার আলোকেই এই গানটির জন্ম। সালেকা-মালেকা ও আলাল-দুলালের মতো অনেক জনপ্রিয় গান আর সাধারণ জীবনযাপন তাকে ঠাঁই দিয়েছে সর্বস্তরের মানুষের বুকের গভীরে।
দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ জুন ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজম খান।
দেশীয় পপ ও ব্যান্ড সংগীতের পথিকৃৎ ছিলেন আজম খান। তাই তিনি সবার কাছে পপগুরু। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই বীর সেনানী সংগ্রামী জীবনে অনেক কীর্তি গড়েছিলেন। কিংবদন্তি এই শিল্পীর গাওয়া অসংখ্য গান কালজয়ী ও জনপ্রিয় হয়েছে।
>>>আজম খানের গাওয়া ১০ জনপ্রিয় গান—
* আলাল ও দুলাল
* অনামিকা
* হারিয়ে গেছে রে
* বাংলাদেশ
* ওরে সালেকা, ওরে মালেকা
* আসি আসি বলে
* আমি যারে চাইরে
* এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে
* অভিমানী
* আমি বাংলাদেশের আজম খান
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এসও