এন কে সলিল এই প্রথমবার কোনও ধারাবাহিকের জন্য কলম ধরেছেন। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘জামাই রাজা’য় সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সলিল।
‘জামাই রাজা’ ঈশান (অর্জুন চক্রবর্তী) ও নীলাশার (শ্রীমা ভট্টাচার্য) প্রেমকাহিনি হলেও ধারাবাহিকটি মূলত শাশুড়ি আর জামাইয়ের মধ্যে বিভেদের গল্প, দ্বৈরথের গল্প। বাসবদত্তা ব্যানার্জি (চৈতি ঘোষাল) ও ঈশান চ্যাটার্জির মধ্যেকার অস্থিরতার কাহিনি।
কিছুদিন বাদে বেশ বড়সর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে চৈতি ঘোষালকে। অভিনেত্রী বললেন, “জি-এর সঙ্গে কাজ করাটা অদ্ভুত এক ইমোশনাল জার্নি। ‘এক আকাশের নীচে’ ধারাবাহিকে কাজ করতে এসে জি’এর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। এটা যেন অনেকটা ঘরে ফেরা। বাসবদত্তা ব্যানার্জী পুরোপুরি গল্পের চরিত্র নয়। চরিত্রটার মধ্যে আবেগ আছে, প্রাণ আছে। একটা স্টাইল আছে, বডি ল্যাঙ্গুয়েজও অন্যরকম। কাজ করতে বেশ ভালো লাগছে। ”
ঈশানের চরিত্রটি পেয়ে খুশি অর্জুনও। কেন এই ধারাবাহিকটি করতে রাজি হলেন তা বলতে গিয়ে অর্জুন বললেন, ‘‘পরিচালক গৌতম (বাবু) বণিক আমাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড। প্রচুর হিট সিরিয়াল করেছেন। আমার মা (মিঠু চক্রবর্তী) ওর সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি আমাদের নাট্য প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত। তাই বাবুদা যখন বললেন কাজটা করতে, তখন রাজি হয়ে গেলাম। তা ছাড়া সুরিন্দর ফিল্মসের মতো এতো বড় একটা ব্যানার! আর ‘জামাই রাজা’র কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন পুরুষ, সেটাই করছি আমি। সব মিলিয়ে আপত্তি করার প্রশ্নই ছিলো না। ”
নিজের চরিত্র সম্বন্ধে অর্জুন জানালেন, ঈশান চ্যাটার্জি এক স্বনামধন্য ব্যবসায়ীর পুত্র। সেও বাবার ব্যবসা দেখে। ভালো ছেলে বলতে যা বোঝায় ঈশান সে রকমই। ঘটনাচক্রে নীলাশার সঙ্গে আলাপ হয় এবং তাদের বিয়েও হয়। সে কিন্তু তার আসল পরিচয়টা জানায় না। যদি সেটা জানা যেত, তাহলে হয়তো তার শাশুড়ির সঙ্গে এই দ্বন্দ্বটা থাকতো না। শাশুড়ি মেনেই নিতো। কিন্তু তা হয় না। ’
নীলাশা অর্থাৎ শ্রীমা বলেন, ‘এই প্রথম আমি জি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছি। স্বাভাবিকভাবেই খুশি। ইউনিটের সবাই আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করছেন যেন আমি বাড়ির ছোট মেয়ে। ফলে আমি খুব তাড়াতাড়ি সহজ হয়ে উঠতে পেরেছি। নার্ভাসনেস একদম নেই। ’
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অলকানন্দা রায়কে দেখা যাচ্ছে নীলাশার দিদিমার চরিত্রে। তার চরিত্র নিযে বললেন, ‘আমি একদিকে মা, আবার দিদিমাও। সে মেয়েকেও বোঝে আবার নাতনির ব্যাপারও বুঝতে পারে। এই দুই ভিন্নমুখী চরিত্রের মাঝে সে সাকো তৈরি করতে চায়। কিন্তু সব সময় সেটা হয় না। জামাই রাজাকে দেখে দিদিমার মনে হয়, সে পারবে দু’জনের ব্যবধান কমিয়ে দিতে। ’
একই নামে হিন্দিতে একটি সফল চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছিলো। যেখানে শাশুড়ি জামাইয়ে দ্বন্দ্বই ছিলো মূল বিষয়বস্তু। কথাটার উল্লেখ করতেই আপত্তি জানালেন এন কে সলিল, ‘না-না কোনও মিল নেই। আসলে এটা হাসির মোড়কে স্যাটায়ার। ’ তবে চিত্রনাট্য এবং সংলাপের ক্ষেত্রে ফিল্মি অস্ত্রগুলিকে কাজে লাগিয়েছি। যেমন ধরুন টেম্পো বা রিদম। ’
‘রাশি’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’র সফল পরিচালক বাবু বণিক জানালেন, “জামাই ও তার শ্বশুড়বাড়ির সঙ্গে সম্পর্কটাকে তুলে ধরা হচ্ছে। মা ও মেয়ের মধ্যেকার অস্বাভাবিক সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক করতে প্রবেশ ঘটছে ‘জামাই রাজা’র। দর্শক দেখে মজা পাবেন এটুকু বলতে পারি। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৭
ভিএস/এসও