শুক্রবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন ১৮টি সংগঠনের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ফারুক, আলমগীর, রিয়াজ, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, ডিপজল অভিনেত্রী রোজিনা, অঞ্জনা, পপি, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র নেতারা জানান, প্রতিবাদের মুখে যৌথ প্রযোজনার বিতর্কিত দুই ছবি ‘বস টু’ ও ‘নবাব’কে অন্যায়ভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দেশীয় চলচ্চিত্রের স্বার্থ রক্ষায় তারা তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চান। এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
অন্যদিকে যৌথ প্রযোজনার বিতর্কিত নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে এখন থেকে কোনো কাজ করবে না সংগঠনগুলোর শিল্পী-কুশলীরা। পাশাপাশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া তথা প্রযোজক আবদুল আজিজের সঙ্গেও কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখবেন না তারা।
সংবাদ সম্মেলনে চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা আবেগ থেকে যাই বলি না কেন, আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমি চাই সেন্সরবোর্ড থেকে গুলজার ভাই ও দিলু ভাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। তারা সেটা করবেন আশা করি। ’
এতে তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে শিল্পীদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘যেভাবে চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে সেটা ঠেকাতে করণীয় আজই ঠিক করতে হবে। ’
শাকিব খান প্রসঙ্গে অভিনেতা আলমগীর বলেন, ‘শাকিব খানকে আর ক্ষমা নয়। এর আগে শাকিবের ঝামেলা মিটিয়ে দিয়ে ভুল করেছিলাম। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ফারুক ভাইকে নিয়ে যে কমেন্ট করেছে তা ক্ষমা করা হবে না। তাকে বয়কট নয়, তার শাস্তি চাই। সংগঠনগুলো তার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিবে তাকে স্বাগত জানাবো। যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময় চাই কিন্তু তার নামে অনিয়ম চাই না। আমরা দেরি করে আন্দোলন শুরু করায় ছবি দুটি সেন্সর পেয়ে গেছে। ঈদের পর যেন এই আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ’
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির বর্তমান সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার সেন্সর বোর্ড ও প্রিভিউ কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। বিতর্কিত দুটি ছবিকে ছাড় দেওয়ার প্রতিবাদস্বরূপ তিনি এমনটি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এসও