এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে গেলেন ঈদের পরের দিন বরিশাল নগরের একমাত্র সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে আসা সরকারি চাকরিজীবী আশিকুর রহমান। তিনি জানান, তার ছোটবেলায় বরিশাল নগরে কাকলী, অভিরুচি, বিউটি ও সোনালী নামে চারটি সিনেমা হল ছিলো।
আশিক আরও বরেন, কিন্তু এ সিনেমাহলের অবস্থাও তেমন একটা ভালো নেই। ঢাকার সিনেমা হলগুলোতে যে ধরনের আধুনিকায়নের ছোঁয়া, সেখানে এটি এখনও অনেকটাই সনাতন। তারপরও এতো দর্শক আসছে যা কল্পনাতীত। প্রায় এক যুগ পর বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেটে বেশ মজাই পেয়েছি।
ঈদের দিন বিকেলে বরিশাল নগরের রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিলো অনেকটাই। কিন্তু সেই বিকেল থেকে আজ অব্দি কোনো সিট ফাঁকা ছিলো না নগরের একমাত্র সিনেমা হল অভিরুচিতে। ঈদ কেন্দ্র করে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় ‘বস ২’ চলছে এ হলটিতে।
হল সূত্রে জানা যায়, ৯২৫ আসনের অভিরুচি সিনেমা হলের চারটি শো’র মধ্যে তিনটি চালু রয়েছে। এর মধ্যে ম্যাটিনি শো দুপুর ৩টা, ইভিনিং শো সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা এবং নাইট শো ৯টায়। আর এর সবকটি শো-ই গত দু’দিন ধরে হাউসফুল।
অনেকে বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন, আবার অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়েও সিনেমা দেখতে এসেছেন হলে।
হাওলাদার নামে একজন দর্শক বলেন, ঈদের ছুটির প্রথম দিনে বিনোদনকেন্দ্র, নদীভ্রমণ করেছি। এবার পরিবারের সবার শখ জেগেছে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার। আমাদের ছোটবেলোয় তো সিনেমাকে আমরা বই বলতাম। যেমন, চল বই দেখে আসি। আজ সেই বই অর্থাৎ সিনেমা দেখতে এসেছি। বেশ ভালোই লেগেছে, তবে এতো ভিড়ে টিকিট পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
ভাটার খাল এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ জানান, সিনেমা হলে গত দু’দিন ধরে গিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টার শোতে টিকেট নিতে পারেননি বলে দু’দিনই ফিরে এসেছেন। তবে আজ বিকেল ৩টায় এসেছেন, ছবি যে দেখতেই হবে!
বরিশাল অভিরুচি হলের ব্যবস্থাপক সৈয়দ রেজাউল কবির বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি জিৎ এর ‘বস ২’ ছবিটি আমাদের প্রেক্ষাগৃহে চলছে। ঈদের সময় ভিড়টা এমন থাকে যে হল হাউসফুল হয়ে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যা ৬টার শোতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।
তবে বরিশাল নগরে একটি সিনেমা হল হলেও বছরজুড়ে কয়েকটি ছবি ছাড়া এমন হাউসফুল দৃশ্য আর দেখা যায় না বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এমএস/এএ