মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সমান তালে কাজ করেছেন রাতিন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাতিনের চিকিৎসা চলছিলো। লিভার ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে নেওয়া হয় ন্যাশনাল হাসপাতালে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ও ল্যাব এইডে চিকিৎসা দেওয়া হয় রাতিনকে।
মৃত্যুকালে রাতিনের বয়স হয়েছিলো ৬৬ বছর। রাতিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাই অঞ্জন রহমান। বাদ জোহর নারিন্দার বিনোদ বিবি মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দ্বিতীয় জানাযার জন্য বিকেলে লাশ নেওয়া হবে এফডিসিতে। এরপর স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে চিরসমাহিত হবেন রাতিন।
১৯৭০ সালে মোস্তফা মাহমুদ পরিচালিত নতুন প্রভাত ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন রাতিন। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দেবদাস, হারানো সুর, শুকতারা, জবাব চাই, স্নেহের প্রতিদান, চোরের বউ, মহান বন্ধু, লালু সর্দার, স্বার্থপর প্রভৃতি। তার অভিনীত মঞ্চ নাটকের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। টিভি নাটকে তিনি ১৯৭২ সাল থেকে অভিনয় করেন। দুই শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে রত্মদ্বীপ, মহুয়ার মন, অভিনেতা, বোবাকাহিনী, গৃহবাসী প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসও