বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শনিবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘শিল্পী লাকী আখান্দকে নাগরিক শ্রদ্ধা’ অনুষ্ঠান।
এতে আলোচনায় অংশ নেবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, গীতিকবি কাওসার আহেমদ চৌধুরী, সংগীতশিল্পী ও সংগঠক হামিন আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেখানো হবে লাকী আখান্দের ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্র, তার সুরারোপিত শেষ গানের মিউজিক ভিডিও, থাকবে শিল্পীর জনপ্রিয় তিনটি গানের পরিবেশনা।
ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত শিল্পী লাকী আখান্দের চিকিৎসায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আপামর মানুষ ও সরকার। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি গিয়েছেন না ফেরার দেশে।
নিভৃতচারী ও নিরহংকারী লাকী অসুস্থ হয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে।
লাকী আখান্দের জন্ম ১৯৫৫ সালে, পুরান ঢাকায়। ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন লাকী আখান্দ।
১৯৮৭ সালে ছোট ভাই সংগীতশিল্পী হ্যাপী আখান্দের অকাল মৃত্যুর পরপর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছানির্বাসন নেন এই শিল্পী। বিরতির পর থেকে আবারও গানের সঙ্গে সখ্যতা গড়েছিলেন।
দীর্ঘ সংগীতজীবনে কিছু কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন লাকী। এর মধ্যে আছে ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর’, ‘কে বাঁশি বাজায় রে’, ‘লিখতে পারিনা কোনো গান’, ‘আগে যদি জানিতাম’, ‘মা মুনিয়া’, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এসও